× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গাদের পোড়া গ্রামে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার

রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির মুখোমুখি হয়েছিলেন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তাদেরকে ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে দেখা গেছে। কিন্তু আলোচনায় উঠে এসেছে কড়া কথা। বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর নিয়ে এসব কথা লিখেছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, রোববার সুচির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বরিস জনসন ছুটে যান রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বসতিতে। সেখানে গিয়ে তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেন ধ্বংসলীলা। দেখেন কিভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তাকে বাচ্চাদের পুড়ে যাওয়া একটি বাইসাইকেলের ধ্বংসাবশেষ হাতে তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এসব ছবি প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল। এতে আরো বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা তাকে রাখাইন রাজ্যে পুড়িয়ে দেয়া রোহিঙ্গাদের একটি গ্রামে নিয়ে যান। এ গ্রামটি হলো মংডুর পান ড পাইন। সেখানে তিনি দেখতে পান গ্রামটিকে একেবারে পুড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে তিনি অং সান সুচির সঙ্গে রাজধানী ন্যাপিডতে বৈঠকে রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, ২৫শে আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ। গণধর্ষণ করা হয় বালিকা, যুবতী ও নারীদের। বীভৎসভাবে এরপর হত্যা করা হয় তাদের। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের পর গ্রাম। লুটে নেয়া হয় সহায় সম্বল। ফলে বাধ্য হয়ে মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম। একে জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। এসব রোহিঙ্গাকে দেশে ফেরত পাঠাতে একটি শিডিউল নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাহায্য সংস্থাগুলো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর