× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনে চিঠি /ঢাকায় চলছে পাল্টাপাল্টি

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার

নির্বাচনী অস্থিরতা অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে সমাধান করতে চেয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। আবদুস সাদেককে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্যের কমিটি ছিলো সে সমাধান। কমিটি গঠনের পরদিন শুরু হয় জাতীয় দলের এশিয়ান গেমসের বাছাই পর্বের প্রস্তুতি। লীগের দল বদলের তারিখও ঘোষণা করেছিল আপদকালীন এই কমিটি। বেশ কয়েকটি সাব কমিটি গঠন করে যখন গুছিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি এই অ্যাডহক কমিটি ঠিক তখনই শুরু করেছে নতুন ঝামেলা। অ্যাডহক কমিটির সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের (আইএইচএফ) কাছে ই-মেইল করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের কাছে মেইলটি করা হয়েছে সাবেক তারকা মামুনুর রশীদের ঠিকানা থেকে।
গত ২২শে জানুয়ারি দুপুরে পাঠানো হয়েছে এই মেইল। এই চিঠি নিয়ে অস্থিরতা শুরু হয়েছে ফেডারেশনে। মামুনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলছেন অনেকে। অনেকে এক ধাপ এগিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কথাও ভাবছেন। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মামুন।
মেইলের মাধ্যমে এশিয়ান হকি ফেডারেশনকে জানাতে হয়েছে, নির্বাচন বাদ দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি। এছাড়া স্থগিত হয়ে যাওয়া ২০১৭ সালের ২৭ আগস্টের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটো প্যানেলের কথাও বলা হয়েছে। এশিয়া কাপের পর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ক্রীড়া পরিষদ নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়নি। অ্যাডহক কমিটিতে অনভিজ্ঞরা সুযোগ পেয়েছেন। ক্রীড়া পরিষদ ও ফেডারেশনের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। মামুনের মেইলের ঠিকানা থেকে পাঠানো হলেও নিচের দিকে একাধিক হকি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম আছে।
ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক এই মেইলের একটা কপি পেয়েছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি জেনেছি এরকম একটা মেইল পাঠানো হয়েছে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের কাছে। মামুনের মেইল আইডি থেকে এটা পাঠানো হয়েছে। ও এই কাজ কীভাবে করতে পারলো? অথচ মামুনকে ফেডারেশন এবং আমার নিজের টাকা খরচ করে গত বছর হাই প্রোফাইল কোচিং কোর্স করতে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। এশিয়া কাপের দায়িত্বও দেয়া হয়েছিল তাকে।’ এই ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘খুবই ঘৃণিত কাজ হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অধীনে ক্রীড়া পরিষদ এই কমিটি গঠন করেছে। তাহলে কীভাবে এটা ঠিক হয়নি, তা বুঝতে পারছি না। যে-ই করে থাকুক, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার মতো কাজ করেছে। মামুনের কাছে আমরা এই মেইলের ব্যাপারে জানতে চাইবো। প্রয়োজনে ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
২০১২ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া মামুন অবশ্য ই-মেইল পাঠানোর কথা স্বীকার করেননি। ‘আমি কেন আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের কাছে ই-মেইল করতে যাবো। আমি কোনো ই-মেইল করিনি।  আমি এসবের মধ্যে নেই’-বলেন তিনি। ই-মেইলের ঘটনা নিয়ে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি প্রতাপ শংকর হাজরা বলেন, আমি বলবো ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এদিকে এশিয়ান হকি ফেডারেশন চিঠির বিষয়ে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কাছে। এরিমধ্যে তাদের জবাবও দিয়েছে ফেডারেশন। তারা এশিয়ান হকি ফেডারেশনকে নাকি বোঝাতে সক্ষম হয়েছে বিষয়টি। তারপরেও বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই নির্বাহী কমিটির সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন সাদেক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর