শুরুটা শ্রীলঙ্কার কাছে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা হাতছাড়া হয়ে। এরপর টেস্ট সিরিজও লঙ্কার দখলে। এবার বাকি টি-টোয়েন্টি। সেখানেই রয়েছে নানা শঙ্কা। কেন হঠাৎ বাংলাদেশের এমন বিপর্যয়। অনেক কারণের ভিড়ে বিদেশি কোচ না থাকাও বড় করে দেখছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিও বিদেশি কোচের অভাবে বেশ নড়েচড়ে বসেছে। গতকাল দলের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিল বিসিবি’র ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান, সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন ও বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক।
কী ছিল সেই আলোচনায়? জানা যায়, কোচ ইস্যু ছিল আলোচনার বড় একটি অংশ জুড়ে। সভা থেকে বের হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। দ্রুতই বিদেশি কোচ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘প্রধানত আমরা কোচ নিয়েই বসেছিলাম। যেহেতু হেড কোচ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমাদের সবচেয়ে প্রাধান্য হলো টিমে একজন হেড কোচ অ্যাপোয়েন্ট করা। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সোর্সে আমরা চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের জন্য যে ধরনের কোচ দরকার সে ধরনের একজনকে নিয়োগ দিতে চাওয়াতেই দেরি হচ্ছে। হুট করে আমরা কাউকে নিয়োগ দিতে চাচ্ছি না। কিছু অপশন আমাদের হাতে এখনো আছে। কোচের যে লিস্ট আমাদের কাছে আছে আমরা মনে করি যে অনেকে বাংলাদেশে টিমের সঙ্গে হয়তো ওইভাবে অ্যাডজাস্ট করতে পারবে না। তাই আমরা কনফার্ম করতে পারছি না।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হলেও শ্রীলঙ্কায় যেতে হবে বাংলাদেশ দলকে। সেখানে ‘নিদহাস কাপ’ নামে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে স্বাগতিক লঙ্কা ছাড়াও টাইগারদের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভারত। তাহলে কি সেখানে দেখা মিলবে বিদেশি কোচের? না, সেই সম্ভাবনাও একেবারে কম বলে জানান জালাল ইউনুস। তবে ক্ষীণ আশা দেখছেন তারা। সেই টুর্নামেন্টে বিদেশি ব্যাটিং কোচ নিয়োগে হতে পারে। এ নিয়ে মিডিয়ার চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিদহাস ট্রফি পর্যন্ত ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দিতে পারি। দুটো ব্যাটিং কোচের নাম আপনারা আগেই জানেন বেভান ও ম্যাকেঞ্জি। তো নিদহাস কাপ পর্যন্ত আমরা যদি তাদের আনতে পারি সেই চেষ্টা চলছে। কিন্তু সম্ভাবনা খুব কম। এত কম সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাটিং কোচ হয়তো আনা সম্ভব হবে না। কিছু টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন আছে। যেগুলো নিয়ে এখনো তাদের সঙ্গে ফাইনাল পজিশনে আসতে পারি নাই।’
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা সিরিজে খারাপ করায় বেশি কোচ নিয়ে জোর দেয়া হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আগে থেকেই ছিল। আমরা হেড কোচ নিয়ে আগে থেকেই সিরিয়াস। একটা স্কুলে সব ধরনের শিক্ষক থাকতে পারে। অঙ্কের শিক্ষক থাকতে পারে ভূগোলের শিক্ষক থাকতে পারে কিন্তু হেডমাস্টার তো দরকার। আমাদের সব ধরনের শিক্ষক আছে হেডমাস্টার নাই। আমাদের একজন হেড কোচ অবশ্যই দরকার। এটা কিন্তু ক্রিকেটাররাও ফিল করছে। কয়েকদিন আগে কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার বলছিল যত শিগগির সম্ভব হেড কোচের প্রয়োজন আছে।’