× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে

শেষের পাতা

বিশেষ প্রতিনিধি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার

দেশে মাদক বিক্রি ও মাদক চোরাচালানের গডফাদারদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের ওই তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। এ তালিকা ধরে এখন কাজ চলছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব তথ্য জানান। শিল্পমন্ত্রী আমু বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে সরকার মাদক বিক্রি বা চোরাকারবারে জড়িতদের তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে। আমরা এখন বিশেষভাবে মাদক ব্যবসায়ী গডফাদার সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তালিকার ভিত্তিতে কাজ করছি। সরকার মাদককে দেশের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে বলেও জানানো হয় সভায়। আমির হোসেন আমু বলেন, এভাবে মাদক সেবন বাড়লে জাতির ভবিষ্যৎ একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে জনগণকে সম্পৃক্ত করা। সব স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। দেশের সব মসজিদে খুৎবা শুরুর আগে ইমাম সাহেব যেন এ ব্যাপারে সচেতনতামূলক কথা বলেন এবং মাদকের খারাপ দিক তুলে ধরেন এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে। বিশেষ করে সমাজে যাতে মাদকবিরোধী একটি সামাজিক বিপ্লব হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা এই কর্মতৎপরতা গ্রহণ করেছি। এটা কার্যকর করার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২০১৩ সালে থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ১২৩ জন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। বলা হয়, দেশের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থার তালিকা সমন্বয় করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা  হবে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে এসেছে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বেড়েছে মাদক সেবন। তাই আমরা মাদকটাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। মাদক যাতে বেশি পরিমাণে বিস্তার লাভ করতে না পারে সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে গত এক বছরে দেশে নানা অপরাধের সংখ্যাগত পরিসংখ্যান দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিরও দাবি করে আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যেসব অবলোকন করেছি সেটা হচ্ছে তুলনামূলক অপরাধ কমেছে। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, ডাকাতি, খুন, অপহরণ ও চুরি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলেও জানানো হয় সভায়। ২০১৬ সালের জুলাইতে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত জঙ্গিবিরোধী ৩২টি বড় অভিযানে ১৮ জন শীর্ষ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয় সভায়। এসব অভিযানে নিহত হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আটজন সদস্য। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন কি না- এমন প্রশ্নে আমু বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি বলতে যদি মানুষ পোড়ানো হয়, পেট্রোল বোমা মারা হয়, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ব্যাহত করা, তাহলে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্যই কঠিনভাবে মোকাবিলা করবে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানসহ তিন পলাতক আসামিকে বিদেশ থেকে ফেরত আনা হবে কি না- এমন প্রশ্নে শিল্পমন্ত্রী আমু বলেন, এটা আইনশৃঙ্খলা সংস্থার ব্যাপার, এটা কীভাবে করবে এটা তাদের ব্যাপার, আমাদের নয়। আদালত কীভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই বিষয়টি তারা দেখবেন। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর