× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁস, শিক্ষকসহ আটক ১৬

অনলাইন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
(৬ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮, মঙ্গলবার, ৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম মহানগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আজকের এসএসসি পরীক্ষার পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। পরীক্ষার একঘন্টা আগে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র সম্বলিত কয়েকজন শিক্ষার্থীর মোবাইল ও উত্তরপত্র জব্দ করেছে প্রশাসন।
যা পরীক্ষা শুরুর পর দেওয়া মূল প্রশ্নপত্রের সাথে হুবহু মিলে রয়েছে। এ ঘটনায় বাওয়া স্কুলের এক শিক্ষক ও ৮ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। পরীক্ষা শেষে ২৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্র জানায়, বাওয়া স্কুল কেন্দ্রে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও চট্টগ্রামের পটিয়া আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসে। পদার্থ বিজ্ঞান ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষাও ছিল আজ। ফটিকছড়ির হোঁয়াকো উচ্চ বিদ্যালয়েও প্রশ্নপত্র ফাঁসের এ ঘটনা ঘটে।  ওই স্কুলেও  সাতজনকে আটক করে পুলিশ। 
চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা আগে শ্যামলী পরিবহণের একটি বাসে আসা পটিয়া আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বাসে বসে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ও উত্তর শিখছিল।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে শিক্ষার্থীর ব্যাগ থেকে প্রশ্ন সম্বলিত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। যাতে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ছিল। এ সময় ৮ শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ও উত্তরপত্র জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর পর দেখা যায় মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল রয়েছে। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে মোবাইলে প্রশ্ন পাওয়া শিক্ষার্থীদের পুলিশ প্রহরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করা হয়। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় ২৪ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্র বহিস্কার করা হয়।
সেই সাথে এই প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত বাওয়া স্কুলের এক শিক্ষক ও৮ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তবে আটককৃতদের নাম প্রকাশ করেননি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।
চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ মোরাদ আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, বাওয়া স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও এ কেন্দ্রে পটিয়া আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা শুরুর পর থেকে শ্যামলী পরিবহণের একটি বাসে আসা পরীক্ষার্থীরা প্রতিদিন পরীক্ষার এক ঘন্টা আগে বাসে বসে তোড়জোড় করে। যা আমার নজরে আসে। এতে আমার সন্দেহ হয়। ফলে আজ মঙ্গলবার সকালে তোড়জোড় দেখে কৌতুহল বশত বাসে উঠে দেখি তারা মোবাইলে প্রশ্নপত্র দেখছে এবং উত্তর শিখছে। তাই মোবাইল ও উত্তরপত্র জব্দ করি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মোবাইলের হোয়াটসআ্যাপ ডিভাইসে প্রশ্নপত্রগুলো এসেছে। কত নম্বর থেকে এসব প্রশ্ন এসেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে আমরা বেশ কয়েকটি নম্বর চিহ্নিত করেছি। এরমধ্যে বোর্ডের লোকজন ও শিক্ষক জড়িত রয়েছে। এদের মধ্য থেকে বাওয়া স্কুলের শিক্ষকসহ ৯ জনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, মনে হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁসে একটি শক্তিশালী চক্র রয়েছে। চক্রটি দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। যা তাদের অভ্যাসে পরণত হয়েছে। চক্রটি খুঁেজ বের করতে প্রশাসন কাজ করছে বলে জানান তিনি।
প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে সবকটি বিদ্যালয়ের মধ্যে বাওয়া স্কুল এন্ড কলেজ খ্যাতীমান। পাবলিক পরীক্ষায় এ স্কুল এন্ড কলেজের ফলাফল বরাবরাই শীর্ষে থাকে। এমন একটি বিদ্যালয়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটবে তা ধারণারও অতীত।
এ নিয়ে সচেতন মহলের মাঝেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। নগরীর সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা এসব স্কুলে নতুন নয়। বছরের পর বছর এসব অপকর্ম করে আসছে তারা। এভাবে তারা বিদ্যালয়ের সুনাম কুড়িয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর