অবশেষে টি-টোয়েন্টিরও অধিনায়ক করা হয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। এ ছাড়া বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে দলে নতুন মুখ হিসেবে এসেছেন নাজমুল ইসলাম অপু। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ইনজুরিতে থাকায় নেতৃত্বে এ সাময়িক পরিবর্তন। আর তার পরিবর্তে স্পিনারের ঘাটতি মেটাতেই অপুকে দলে নেয়া। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতে খেলতে পারছেন না নিয়মিত অধিনায়ক। কিন্তু নির্বাচকরা সাকিবকে রেখেই ঘোষণা করেছিলেন দল। কিন্তু তার প্রথমই নয়, দ্বিতীয় ম্যাচ খেলাও শঙ্কাতে। তাই ধারণা করা হচ্ছিল তামিম ইকবালকে দেয়া হতে পারে নেতৃত্ব।
কারণ কয়েক মাস আগে বোর্ড মিটিং শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন তামিম টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বোর্ড আস্থা রাখে রিয়াদের উপরই। এ বিষয়ে জাতীয় দলের নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘সাকিবের পরিবর্তে অধিনায়ক কে হবে সেটির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিসিবির প্রধান। আমরা শুধু তার পরিবর্তে একজন বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে নাজমুল অপুকে দলে নিয়েছি।’
সাকিবের পরিবর্তে সহঅধিনায়ক হিসেবে টেস্টেও নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বিপিএল-এর গেল দুই আসরে নেতৃত্ব দিয়েছেন খুলনা টাইটন্সকে। এর আগে তিনি বরিশাল বুলসের অধিনায়ক হিসেবে দলকে ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। মূলত তার এ অভিজ্ঞতার কারণেই বিসিবি তার নেতৃত্বে আস্থা রেখেছে। নির্বাচকরা ঘোষণা করেছেন আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি দল। এরপর ১৮ই ফেব্রুয়ারি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়াবে সিরিজে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ। তার জন্য ফের ঘোষণা করা হবে দল। যদি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাঠে ফিরেন তাহলে নেতৃত্ব দিবেন তিনিই। তবে স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর সঙ্গে গতকাল উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনকেও অনুশীলন করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমরা প্রথম টি-টোয়েন্টির জন্য দল ঘোষণা করেছি। এখানে মিঠুনকে রাখছি না তাতো জানেন। তবে ওকে অনুশীলনে রাখা হচ্ছে কারণ দ্বিতীয় ম্যাচে ওকে দলে রাখা হতে পারে।’
স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর দলে আসার কারণ বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্স। যদিও সাকিব থাকলে তাকে নিয়ে চিন্তা করা হতো না। ২৬ বছর বয়সী নারায়ণগঞ্জের সন্তান এখন পর্যন্ত ৫১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। উইকেট পেয়েছেন ১৩৪টি। এ ছাড়াও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার শিকার ৭৪ উইকেট। তবে এখন পর্যন্ত ঘরোয়া ৫০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার শিকার ২৭.৬২ গড়ে মাত্র ৩৭ উইকেট। তার সেরা শিকার ৮ রানে ৩ উইকেট। এবার বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের হয়ে বল হাতে দারুণ করেছেন নাজমুল। এতে ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১২ উইকেট।