× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দুই মামলার রায়ে তারেক রহমানকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড

দেশ বিদেশ

সংসদ রিপোর্টার
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং, গ্রেনেড হামলা, রাষ্ট্রদ্রোহসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে দুটি মামলার রায় হয়েছে। একটি মামলায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর মামলায় ১০ বছর মিলিয়ে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি’র প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি জানান, ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়েরকৃত মানি লন্ডারিং মামলায় নিম্ন আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। উক্ত খালাস আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। আপিলের রায়ে আসামি তারেক রহমানকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর দায়রা কোর্টে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত তারেক রহমানকে জরিমানার টাকা অন্য  আসামিদের সঙ্গে আনুপাতিক হারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমাদানের নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ ছাড়া দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কার্যক্রম চলছে। আইনমন্ত্রী জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ২০০৭ সালে কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. যোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু আসামি হিসেবে অভিযুক্ত হন। উক্ত মামলার দাখিলকৃত অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে ডা. যোবায়দা রহমান হাইকোর্ট বিভাগে দরখাস্ত করেন। হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত দরখাস্ত খারিজ করে দেন। উক্ত খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে করা মিস পিটিশনটি এখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারা বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০টি। সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আরো ৪১টি ট্রাইব্যুনাল সৃজনের মঞ্জুরি প্রদান করেছে এবং উক্ত ট্রাইব্যুনালসমূহের জন্য ২০৫টি সহায়ক পদও সৃজন করা হয়েছে। নবসৃজিত এ পদগুলোতে আমরা অতি দ্রুত নিয়োগ প্রদান করছি যাতে করে এই মামলাগুলো আরো দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর