× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

বাংলারজমিন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার

সাতক্ষীরায় ১০ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে তার এক সহপাঠী। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা শহরতলির বকচরা বাইপাস সড়কের  পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহতের এক সহপাঠীসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। নিহতের নাম সাকিব হোসেন (১৬)। সে পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ও পলাশপোল মেহেদীবাগে বসবাসরত কলারোয়া উপজেলার সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত সিপাহী নজরুল ইসলামের ছেলে। আটককৃতরা হলো- শহরের কামাননগরের   হাফিজুল ইসলাম (৬০), মেহেদি হাসান ফয়সল (১৫), শামীমুজ্জামান অমি (১৪), যুবায়ের হোসেন (১৮), রনি (১৮), শাহিনুর (২৪) ও ইটাগাছার আবু হাসান (৩৮)। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শহরের রসুলপুরের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আবদুল আজিজের ছেলে আব্দুর রাশেদ জানান, সেসহ তার দু’সহপাঠী অমি ও সাকিব মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বকচরা আহমদিয়া দাখিল মাদরাসার মাঠে ইছালে ছওয়াব শুনতে যায়।
সেখানে একটি স্টলে খাবার কেনা নিয়ে তাদেরই পরিচিত কামাননগর কলোনির আবদুল কাদের ও শান্তর সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হলেও স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। রাত ১০টার দিকে সে, সাকিব ও অমি বাড়ি ফেরার পথে বাইপাস সড়কের কাছে পৌঁছানো মাত্র পিছন দিক থেকে কাদের ও শান্তসহ কয়েকজন তাদেরকে গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। হামলার একপর্যায়ে অমি পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা গুরুতর জখম রাশেদ ও সাকিবকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সাকিবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাফিজুল্লাহ জানান, ভারি জিনিস দিয়ে আঘাত লাগার ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে সাকিবের মৃত্যু হয়েছে। রাশেদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল হক জানান, সাংবাদিক আমিরুজ্জামান বাবুর ছেলে অমিসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর