× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রযুক্তি দিয়েই প্রশ্নফাঁস মোকাবিলা সম্ভব

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার

সরকারের অবহেলা, অসচেতনতা ও সৎ ইচ্ছার অভাবে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হচ্ছে। এ সমস্যা একটি জাতীয় সংকট। এ সংকটের মোকাবিলা প্রযুক্তি দিয়েই সম্ভব।  
গতকাল রাজধানীতে বেসিস কনফারেন্স হলে ‘প্রশ্নফাঁস বিপর্যয়: কারণ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তিগত সমাধান’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এমন মতামত তুলে ধরে। গোলটেবিলটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম, জাগো ফাউন্ডেশন, পরিবর্তন চাই ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি আইটি সোসাইটি।
প্রশ্নফাঁস বিষয়ে বিডিজবস প্রধান নির্বাহী ও বেসিস’র সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস সরকারের অজ্ঞতা, অবহেলা বা অসহায়ত্ব দায়ী কিনা জানি না। তবে প্রশ্নফাঁস এখন মহামারীর মতো জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মতো প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এ সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে।
প্রশ্নফাঁস মোকাবিলা প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমেই সম্ভব।
প্রশ্নফাঁসের কারণ উল্লেখ করে প্রযুক্তিবিদ মীর শাহরুক ইসলাম বলেন, প্রশ্ন ছাপা থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশ্ন পরিবহন ও সংরক্ষণে সবচেয়ে প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকি বেশি। এজন্য মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল বাক্স ব্যবহারের মতো বড় বড় পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সরকারকে রিমোট আনলক স্মার্টবক্সের মতো প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
পরিবর্তন চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ফিদা হক বলেন, ইন্টারনেট ও ফেসবুক বন্ধ করা প্রশ্নফাঁস রোধে যৌক্তিক কোনো সমাধান নয়। পরীক্ষাকে প্রশ্নফাঁসমুক্ত করতে প্রযুক্তির সার্বিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
প্রশ্নফাঁসের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি আইটি সোসাইটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, প্রশ্নফাঁসে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সহযোগিতা ও সরকারের বিচারহীনতার ভূমিকা রয়েছে। এজন্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে বলে মনে করেন এ প্রযুক্তিবিদ।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে শিক্ষক, অভিভাবক, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এদিকে সরকারকে পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন, প্রযুক্তির পুরো ইকো সিস্টেমে আমূল পরিবর্তন আনার পাশাপাশি সরকারকে আইনি প্রয়োগের ওপর জোর দিতে হবে বলে মনে করেন তারা।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মাসিক পত্রিকা টেক ওয়ার্ড বাংলাদেশ-এর সম্পাদক নাজনিন নাহার, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করবী রাশেদ, শিশু শিক্ষার কর্মী রাখাল রায়, প্রযুক্তিবিদ জাহিদুল ইসলাম বিপুল প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর