কুমিল্লার লাকসাম থেকে নিখোঁজ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর লাশ গতকাল ভোরে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেলিয়াই গ্রামের একটি পুকুর থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, গত ৭ই ফেব্রুয়ারি স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিতাই দেবনাথ লাকসাম উপজেলার হাশিরপাড় বাজার থেকে তিথি শিল্পালয়ে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে নিতাই দেবনাথের বড় ভাই গৌরাঙ্গ দেবনাথ লাকসাম থানায় একটি জিডি করেন। বুধবার সন্ধ্যায় তিথি শিল্পালয়ের পাশের দোকান মা বেডিং স্টোরের মালিক বেলাল (৩২)কে সন্দেহজনক ভাবে পুলিশ আটক করে। আটক বেলাল পুলিশের কাছে নিতাই দেবনাথকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। আটক বেলালের বাড়ি চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের অমরপুর গ্রামে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ একই ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের লিটনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া পুলিশ লাকসাম থেকে মিলন, সাইফুল ইসলাম জুয়েল ও জুয়েল নামের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য মতে লাকসাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাতফুজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চাটখিল থানা পুলিশের সহায়তায় চাটখিলের পশ্চিম দেলিয়াই থেকে নিতাই দেবনাথের লাশ উদ্ধার করেছে। নিতাই দেবনাথ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সাইতলা গ্রামের নারায়ণ দেবনাথের পুত্র। আটক বিল্লাল জানায়, পাশের ব্যবসায়ী হিসেবে নিতাইয়ের সঙ্গে তার টাকা পয়সার লেনদেন ছিল। নিতাই তার কাছ থেকে পাওনা টাকা দাবি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বেলাল তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বেলাল জানায়, গত বুধবার নিতাইকে কৌশলে তার বাড়ি চাটখিলে নিয়ে আসে। আর বুধবার রাতেই বেলাল, লিটনসহ অন্যরা তাকে পিটিয়ে ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশের পুকুরে বালুর বস্তার সঙ্গে বেঁধে ফেলে দেয়। নিতাইকে হত্যার পর বেলাল তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মা বেডিং স্টোরে স্বাভাবিক ভাবে ব্যবসা করছিল।