× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই বাছাই করবে মিয়ানমার, তারপর প্রত্যাবর্তন

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৬ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮, সোমবার, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

প্রত্যাবর্তনের জন্য বাংলাদেশ যে ৮০৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকা হস্তান্তর করেছে তা যাচাই বাছাই শুরু করবে মিয়ানমার। তবে কবে নাগাদ ওই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে তা কেউ জানেন না। এ খবর দিয়েছে মিয়ানমারের অনলাইন মিয়ানমার টাইমস। এতে বলা হয়েছে, গত আগস্টের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে নৃশংসতার শিকার হয়ে কমপক্ষে সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাইওয়া শয়ে ঢাকা সফর করেছেন। এ সময় তার কাছে রোহিঙ্গাদের ৮০৩২ জনের একটি তালিকা হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে দু’দেশের মধ্যে ২৩ শে নভেম্বর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী, যাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে তাদের প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ মিয়ানমারকে আগেভাগে সরবরাহ করবে বাংলাদেশ।
এরপর মিয়ানমার সরকার তা যাচাই করে নিশ্চিত করবে, তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা রাখাইনের বৈধ অধিবাসী কিনা। এই যাচাই বাছাইয়ে টিকে গেলেই প্রত্যাবর্তন শুরু হবে। ওই তালিকার বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের তালিকা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে তারা আমাদের সহায়তা চেয়েছেন। তবে ওই সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেন নি মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এপির রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর এখনও নির্ধারণ করা হয় নি, সুনির্দিষ্টভাবে কবে, কখন প্রত্যাবর্তন শুরু হবে। তিনি আরো বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার জন্য নিরাপদ ও যথাযথ অবকাঠামোর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ। ওদিকে এমনিতেই বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ। তার ওপর রোহিঙ্গাদের চাপ পড়েছে এ দেশটির ওপর। তাই তারা দ্রুত রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চাইছে। এক্ষেত্রে আগ্রহ দেখিয়েছে মিয়ানমার। এ জন্য তারা রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে সীমান্তে কিছু ব্যক্তিকে মোতায়েন করেছে। তবে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। তিনি মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, এখনও রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয় নি মিয়ানমারে। কারণ, কি কারণে তারা দেশছাড়া হয়েছেন এবং তাদের অধিকার প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি এখনও চিহ্নিত করে নি মিয়ানমার। উপরন্তু এখনও মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা আসছে। আরো কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার জন্য দায়ী করা হয় সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের। কিন্তু মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর