× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার কেনা নিয়ে ভারত-চীন কূটনৈতিক লড়াই

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৬ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮, মঙ্গলবার, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শতকরা ২৫ ভাগ শেয়ার কেনা নিয়ে তীব্র এক কূটনৈতিক লড়াই চলছে ভারত ও চীনের মধ্যে। উভয় দেশই ওই শেয়ার কিনতে ব্যাপক চেষ্টা তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় তদ্বির করতে উড়ে এসেছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিক্রম লিয়ামে। তাদের থেকে শতকরা ৪৫ ভাগ বেশি দাম হাঁকিয়েছে চীন। নিয়ম অনুযায়ী, ওই শেয়ার পাওয়ার কথা চীনের। তা সত্ত্বেও ভারত দু’দেশের শক্তিশালী সম্পর্কের দোহাই দিয়ে ওই শেয়ার পাওয়ার জন্য তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ, চীন এ অঞ্চলে তার প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। এটা নয়া দিল্লির মাথা ব্যথার কারণ।
এসব কথা লিখেছে ভারতের অনলাইন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। এতে আরো বলা হয়েছে, চীনা স্টক এক্সচেঞ্জের এক কনসোর্টিয়াম ওই শেয়ারের মূল্য ভারতের চেয়ে শতকরা ৪৫ ভাগেরও বেশি দাম হাঁকিয়েছে। তা সত্ত্বেও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) নেতৃত্বাধীন ভারতীয় একটি কনসোর্টিয়াম ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের যে মূল্য হাঁকিয়েছে, তাতেই তারা ওই শেয়ার পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে লবিং করছে। চীনের সাংহাই ও শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে একটি কনসোর্টিয়াম ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওই শেয়ারের প্রতিটির মূল্য দিতে চেয়েছে ২২ টাকা। সব মিলে শেয়ারের মূল্য দাঁড়াবে ১১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। অন্যদিকে ভারতের এনএসই কনসোর্টিয়াম প্রতিটি শেয়ারের দাম বলেছে মাত্র ১৫ টাকা। বিশ্বাস করা হয় যে, চীনা এক্সজেঞ্জ যে প্রস্তাব বা দাম বলেছে, তা গ্রহণ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। তবে এই দর অনুমোদিত হতে হবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে। এছাড়াও চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো আরো ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলারের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রস্তাব করেছে। এক্ষেত্রে ভারতের এনএসই কনসোর্টিয়াম শুধু প্রযুক্তিগত সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তার অর্থমূল্য কি হবে তা জানায় নি।
এ অঞ্চলে চীনের আধিপত্য বিস্তারকে ঠেকানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। এ জন্য বিএসইসি’র সঙ্গে তদ্বির করতে উড়ে বাংলাদেশে এসেছেন এনএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিক্রম লিমায়ে। যে কনসোর্টিয়াম শতকরা ২৫ ভাগ শেয়ার কেনার অনুমতি পাবে তারা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পরিষদে বড় একটি আসন পাবে। একই সঙ্গে এক্সচেঞ্জের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে। এর আগে পাকিস্তান, নেপাল ও মিয়ানমারের শেয়ার বাজারের স্টক কিনেছে চীনা কনসোর্টিয়ামগুলো। ফলে এ অঞ্চলে চীন এক্ষেত্রে ক্রমশ তার প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। বলা যায়, তার আধিপত্য বিস্তার করছে। এটাই নয়া দিল্লির উদ্বেগের কারণ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ঢাকার একটি পত্রিকা লিখেছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া এবং রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে কিনা তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে এনএসই। তারপরও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আশায় বুক বেঁধে আছেন। তারা মনে করছেন, তাদের অনুরোধ গ্রহণ করবে বাংলাদেশ সরকার। কারণ, দেশ দুটির মধ্যে বন্ধন রয়েছে শক্তিশালী। শুক্রবার ব্লুমবার্গকে বিক্রম লিয়ামে বলেছেন, এখনও আমরা আশাবাদী। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আমরা আশা করছি, শেয়ার বাজারের উন্নয়নে আমাদের অবদানের বিষয়ে তারা সহায়তা করবে। আমাদের অভিজ্ঞতা ও ট্র্যাক রেকর্ডকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার ও এক্সচেঞ্জকে উন্নত করার মতো ভালো অবস্থানে আছি আমরা। ওদিকে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বিএসইসির একজন মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেছেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সুপারিশের জন্য অপেক্ষায় আছি আমরা। তারপরই সিদ্ধান্ত নেবো। আমাদেরকে বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থকে, সর্বোপরি আমাদের দেশের স্বার্থ বড় করে দেখতে হবে।
ওই রিপোর্টে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অন্যতম পরিচালক শাকিল রিজভির বক্তব্য তুলে ধরা হয়। তিনি বলেছেন, পরিচালনা পরিষদ চীনা দরপত্রটি গ্রহণ করেছে। এর কারণ, চীনের দরটিই সর্বোচ্চ। এখন এটা বিএসইসি থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারা যদি অনুমোদন করতে চান, করতে পারেন। কিন্তু তারা করছেন না।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ তার শতকরা ২৫ ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে বিদেশী কোনো অংশীদার খুঁজে পেতে মুখিয়ে আছে এই এক্সচেঞ্জ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর