× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বঙ্গোপসাগরে সামরিক সম্পদের উপস্থিতির বিষয়ে ভারতীয় বিশেষজ্ঞের সতকর্তা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৬ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮, মঙ্গলবার, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজের মতো কৌশলগত সামরিক সম্পদে (বা অস্ত্রে) সমৃদ্ধ হচ্ছে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হলে তা থেকে সৃষ্টি হতে পারে ভয়াবহতা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়, এরই মধ্যে চীনের কাছ থেকে সাবমেরিন কিনেছে বাংলাদেশ। রাশিয়ার কাছ থেকে তা কেনার দিকে ঝুঁকেছে মিয়ানমার। এক্ষেত্রে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন ভারতের অবসরপ্রাপ্ত ভাইস এডমিরাল পি কে চট্টোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতায় ‘ইন্ডিয়াস মেরিটাইম কানেক্টিভিটি: ইমপর্টেন্স অব দ্য বে অব বেঙ্গাল’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি। এর আয়োজক ছিল অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
এ সম্মেলনে পিকে চট্টোপাধ্যায় বলেন, এসব অস্ত্রের বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে। যেহেতু এমন সব নৌযানের উপস্থিতি বাড়ছে (বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে), তাই ভুল বোঝাবুঝির ফলে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর মধ্যে সংঘাত বেধে যাওয়ার খুব বেশি আশঙ্কা রয়েছে। সম্ভবত অদূর ভবিষ্যতে সাবমেরিনের মালিক হতে যাচ্ছে মিয়ানমার। এক্ষেত্রে সমস্যা হলো, সরবরাহকারী যদি একই হয়। এখানে উল্লেখ্য, রাশিয়ায় তৈরি সাবমেরিন পরিচালনা করে ভারত। তা ছাড়া নৌবাহিনীর বিমান ও যুদ্ধজাহাজ অব্যাহতভাবে ভারতের জলসীমায় কোনো চীনা জাহাজ বা সমরাস্ত্র প্রবেশ করেছে কিনা তার ওপর নরজরদারি করছে। এক্ষেত্রে বন্ধু দেশগুলোর নৌবাহিনী যদি সেই একই চীনে তৈরি সাবমেরিন পরিচালনা করে তাহলে ভারতীয় গবেষকরা বা অনুসন্ধানকারীরা দ্বিধায় পড়তে পারেন। এ বিষয়ে পিকে চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা মনে হয় না, চীনের ‘স্ট্রিং অব পার্লস’ ধারণার বিষয়ে মানুষের অতো নজর দেয়া উচিত। উল্লেখ্য, পিকে চট্টোপাধ্যায় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ইন চিফও। তিনি বলেছেন, ভারতকে ঘিরে ফেলা হয়েছে এটা ভাবা উচিত বলে আমার মনে হয় না। চীন শুধু সমুদ্রভাগে তার উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে। একই কাজ করতে ভারতকে কেউ বাধা দিচ্ছে না। তিনি পরে কৌশলগতভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে অর্থনৈতিক ও সামরিকীকরণে ভারতের ব্যর্থতার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আন্দামান দ্বীপের ভূমির আয়তন প্রায় ৮ হাজার বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে শতকরা মাত্র ৬ ভাগ হলো রাজস্ব সংক্রান্ত। শতকরা মাত্র ০.৬ ভাগ ভূমি ব্যবহার করে সেনাবাহিনী। আমাদের মনকে উদার করতে হবে। সেখানে আমাদেরকে পরিবেশগত ক্লিয়ারেন্স বিষয়ক নীতি গ্রহণে নতুন করে ভাবতে হবে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে উল্লেখযোগ্য সম্পদ (সামরিক) রাখার কোনো বিকল্প হতে পারে না। আমাদের গবেষণা করে দেখা দরকার যে, নৌবাহিনীর ইস্টার্ন নেভাল কমান্ড থেকে কি পরিমাণ সম্পদ সেখানে স্থাপন করা যায়।
ওই সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ভারতে জাপানের কনসুল জেনারেল মাসায়ুুকি তাগা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর তাকেনোরি হোরিমোতা, সিনিয়র গবেষক হিদেহারু তানাকা ও যাদবপুর ইউনিভার্সিটির প্রফেসর অনিন্দ্য জ্যোতি মজুমদার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর