× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এটাই কি অলিম্পিকের সর্বকালের সেরা প্রেমের গল্প?

বিশ্বজমিন


(৬ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮, বুধবার, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন

অলিম্পিকে আইস ড্যান্সে দ্বিতীয় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কানাডার টেসা ভার্চু আর স্কট ময়ার। কিন্তু তার চেয়েও বেশি আলোচনায় এসেছে তাদের দুজনের সম্পর্কের রসায়নের বিষয়টি।

সারা বিশ্বেই স্কেটিং ভক্তরা, বিশেষ করে কানাডার বাসিন্দারা এই দুই সহকর্মীর একটি সফল পরিণতি দেখতে চান। সামাজিক মাধ্যমে কানাডার লোকজনের বেশিরভাগ স্ট্যাটাসে এখন সেই আকাঙ্ক্ষাই ঘুরে বেড়াচ্ছে।

১৯৯৭ সাল থেকে একসঙ্গে স্কেটিং করছেন এই যুগল। তারা অলিম্পিকের দুইটি শীর্ষ পদক, তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, আটবার জাতীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তাদের এই সাফল্য বিশাল ভক্ত বাহিনীও তৈরি করেছে। তারও আগে থেকে, প্রায় ৪০বছর আগে দুজনের পরিচয় হয়, যখন তারা একেবারে কিশোর বয়সে স্কেটিং প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন।

কিন্তু তাদের এসব সাফল্যের চেয়েও যেন ভক্তদের কাছে তাদের রসায়নের বিয়ষটিই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

কানাডার ওয়াং যেমন মন্তব্য করেছেন, ''তারা কয়টি পদক পেলেন, সেটা এখন আর কোন বিষয় না। তারা প্রেম করছে।'' টরেন্টো স্টারের সাংবাদিক ব্রুস আর্থার টুইটারে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ''এই দুজনের ভাস্কর্য কোথায় বসানো যায়? তাদের নিজেদের শহরে নাকি অন্য সবার শহরে?''

তার জবাব পেয়েছেন, ''দেশের প্রতিটি প্রান্তে তাদের ভাস্কর্য থাকা উচিত, যেখানে তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আর আমরা তার মাঝে গিয়ে তাদের ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারবো।''

যদিও নিজেদের মধ্যে কোন প্রেমের সম্পর্কের কথা নাচক করে দিয়েছে এই যুগল।
তাই বলে সামাজিক মাধ্যমে অবশ্য জল্পনা কল্পনা থেমে নেই। হয়তো তাদের রসায়নকে বাস্তব করার চেষ্টাতেই, একজন ময়ারের উইকিপিডিয়া একাউন্টে ঢুকে লিখে দিয়েছেন যে, এই যুগল ২০১৮ সালের গ্রীষ্মে বিয়ে করতে যাচ্ছে।

তাদের এই সম্পর্কের বিষয়টি এখন আর শুধু কানাডার লোকজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের একজন টুইটারে লিখেছেন, ''আগে আমি হাজার ভাগ আমেরিকান সমর্থক ছিলাম। কিন্তু ভার্চু আর ময়ারের বরফ নৃত্য দেখার পর আমি একজন কানাডিয়ান হয়ে গেছি।'' কানাডার ব্রডকাস্টার সিবিসি তাদের বিশ বছরের ক্যারিয়ার নিয়ে একটি পাঁচ মিনিটের ভিডিও তৈরি করেছে।

ভার্চু আর ময়ার কিছু না বললে কি হবে, বেশিরভাগ কানাডিয়ানের নিশ্চিত ধারণা, তারা প্রেম করছেন। তাদের অনেকে দ্রুত একটি এনগেজমেন্ট তারিখ ঘোষণার দাবি করছেন। কিভাবে স্কট টেসাকে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন, তা নিয়েও টুইটারে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

তবে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এই যুগল আভাস দিয়েছেন, এই অলিম্পিকের পরেই তারা অবসরে চলে যেতে পারেন। কিন্তু তাদের সহকর্মীর সম্পর্ক অন্য কোন দিকে রূপ নেবে কিনা, সেই আভাস দুজনের কেউই দেননি।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর