টাঙ্গাইলের সখীপুরে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ও অনেক টাকার মালিক করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া এক ছাত্রকে বলাৎকার করেছে আবদুল খালেক (৫৫) নামের এক ভণ্ড পীর। এ ঘটনায় আজ বুধবার বিকেলে সখীপুর থানায় ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভণ্ড পীর আবদুল খালেকের বাড়ি উপজেলার বহেড়াতৈল গ্রামের খামারচালা এলাকায়। সে ওই গ্রামের মৃত নতুব আলীর ছেলে।
পুলিশ ও ওই ছাত্রের স্বজনরা জানান, গত রোববার ওই ছাত্র সখীপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের তার নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতে ওই বাড়িতে বাউলগানের আসর বসে। ওই আসরেই ভ- পীর আবদুল খালেকের সঙ্গে তার দেখা হয়।
পরে খালেক ওই ছাত্রকে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের তার নিজের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে নিয়ে ওই ছাত্রের ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। ঘটনাটি কাউকে জানালে যাদুটুনা করে মেরে ফেলা হবে বলেও ভয় দেখানো হয়। ঘটনার পর পায়ূপথে ব্যথা হলেও ওই ছাত্র ভয় ও লজ্জায় বিষয়টি গোপন রাখে। গত রোববার সকালে ব্যথা তীব্র হলে সে পরিবারের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে।
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্র জানায়, জেএসজিতে(বৃত্তি) জিপিএ-৫ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ওই লোক আমাকে এক বাসায় নিয়ে যায়। ছাত্রের মা বলেন, আমার অবুঝ ছেলেকে যে এমন কাজ করছে আমি তার বিচার চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগেও আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। সে এলাকায় নিজেকে পীর ও কবিরাজ দাবি করে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায় বলেও ওই সূত্রটি জানায়।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূইয়া বলেন, ‘কথিত ওই পীরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই ছাত্রকেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত আবদুল খালেকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
[পিসি/এমকে]