১৫ বছর বয়সী কিশোরী। পরিবারের সঙেই থাকেন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ির একটি বাসায়। লেখাপড়া করেন যাত্রাবাড়ি আইডিয়াল স্কুলের দশম শ্রেণীতে। সে ওই স্কুলের শিক্ষক আইয়ুব খানের কাছে একটি ব্যাচে প্রাইভেট পড়ত। কিন্তু সেই শিক্ষকই তাকে যৌন নিপিড়ন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ওই কিশোরী। যাত্রাবাড়ী থানায় ওই কিশোরীর মা জাহানারা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। মামলার এজাহারে কিশোরীর মা উল্লেখ করেছেন।
১৭ই ফেব্রুয়ারি আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে যেতে পারেনি। তাই শিক্ষক আইয়ুব খান পেছনের পড়ার গ্যাপ পুরণ করার জন্য আমার মেয়েকে ২০ ফেব্রুয়ারি তার বাসায় একা যাওয়ার কথা বলেন। পরে ওই দিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে শিক্ষকের বাসায় সে প্রাইভেট পড়তে যায়। পরে ওই শিক্ষার্থী বাসায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পর শিক্ষকের স্ত্রী ও সন্তানেরা বাসার বাইরে চলে যায়। তখন ওই শিক্ষক আমার মেয়েকে বাসায় একা পেয়ে একান্তে কাছে পাওয়ার জন্য কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে আমার মেয়ে রাজী হয়নি। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক আমার মেয়ের হাত ও কাপড় ছোপড় ধরে টানাটানি শুরু করেন। এমনকি আমার মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানেও তিনি হাত দিয়ে যৌন নিপিড়ন করেন। তখন সে চিৎকার করার চেষ্টা করলে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখান। তারপর সেখান থেকে আমার মেয়ে বাসায় এসে কান্নাকাটি করে ঘটনাটি আমাদেরকে জানায়। পরে আমার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ওই শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি আমাদের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেন। যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মানবজমিনকে বলেন, ঘটনার পরে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আমরা ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি।