বরগুনার আমতলীতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রভাতফেরিতে জুতা পায়ে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে প্রভাত ফেরি শুরু হয়। ওই প্রভাতফেরিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন চাকরিজীবীরা জুতা পায়ে প্রভাত ফেরিতে অংশগ্রহণ করে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন বলেন, জুতা পায়ে প্রভাত ফেরিতে অংশগ্রহণ করায় শহীদদের অবমাননা করা হয়েছে। যারা জুতা পায়ে প্রভাত ফেরিতে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিচার দাবি করছি। মানুষের মাঝে দেশপ্রেম হারিয়ে গেছে। নাহলে এরকম হওয়ার কথা নয়।আমতলী শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বখতিয়ার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি জানতাম না জুতা পায়ে প্রভাতফেরি করা যায় না।
এখন অনেকে জুতা পড়ে প্রভাতফেরিতে যায়, তাই আমিও গিয়েছি। আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুছ হাওলাদার জুতা পায়ে প্রভাত ফেরিতে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল হয়েছে। পরে জুতা খুলে ফেলেছি। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, জুতা পায়ে যারা প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করেছে তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক না। তারা অন্যায় মন্তব্য করেছে, তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, জুতা পায়ে যারা প্রভাত ফেরি করেছে, তারা অজ্ঞ। যদি তারা বুঝে করে থাকে, তবে শহীদদের অবমাননা করা হয়েছে। আর যদি না বুঝে করে থাকে তবে অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে।