গণমাধ্যমে একুশে পদকপ্রাপ্ত ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগরের জন্মদিন আজ। ১৯৫৫ সালের এই দিনে তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। মা রাবেয়া খাতুন একজন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক। বাবা ফজলুল হক দেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’-এর পরিচালক ও ‘সিনেমা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ‘প্রেসিডেন্ট’ ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। ছেলেবেলা থেকেই ফরিদুর রেজা সাগরের সখ্য মিডিয়ার সঙ্গে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি চ্যানেল আইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
লেখালেখিতেও সিদ্ধহস্ত তিনি। উপন্যাস, গল্প, স্মৃতিকথা, ভ্রমণ কাহিনীসহ সাহিত্যের অন্যান্য শাখায় তার বই বের হয়েছে প্রায় দেড়শ’রও বেশি। ছোটদের জন্যও লিখে চলেছেন। সেই বইয়ের সংখ্যাও কম নয়। শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার, রোমেনা আফাজ স্মৃতি স্বর্ণপদক, টেনাশিনাস পদক ও ইউরো শিশু সাহিত্য পুরস্কার। চলচ্চিত্র প্রযোজনার জন্য ছয়বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বিদেশের নানা
সম্মাননা ও পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা, নির্মাণ এবং পরিচালনার জন্য বাচসাসসহ বিভিন্ন সংগঠন তাকে পুরস্কারে ভূষিত করেছে। টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি তার লেখায় নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ও নাটকসহ বিশেষ বিশেষ দিনের বেশ কয়েকটি নাটক ও টেলিফিল্ম এবং ‘ছোটকাকু’ সিরিজের নাটক। এগুলো বেশ দর্শক নন্দিত হয়েছে। বাংলাদেশের টেলিভিশন ব্যবস্থা নিয়ে তার লেখা তথ্যভিত্তিক স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ ‘একজীবনে টেলিভিশন’, ‘আরেক জীবনে টেলিভিশন’ এবং সমপ্রতি প্রকাশিত ‘বাংলা টেলিভিশনের ৫০ বছর’ ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। তার লেখা ‘এক জীবনে টেলিভিশন’ বইটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত এবং গল্প ‘অমি ও আইসক্রিম অলা’ ৬ষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফরিদুর রেজা সাগর বাংলা একাডেমির একজন ফেলো, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থাপনা সদস্য ও ছায়ানটের কার্যকরী সদস্য। ছোটবেলা থেকে কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা এবং বর্তমানে বিভিন্ন শিশু সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এসব সংগঠনের তিনি চ্যারিটি মেম্বার।