এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ মো. শফি আলম ইউনুছ। তিনি পৌর এলাকায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র পরিবারের হোল্ডিং টেক্স নিজের পক্ষ থেকে পরিশোধ করে যাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে তিনি মহতী এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৬০ থেকে ৭০ টাকা যাদের বার্ষিক খাজনা তা পরিশোধের কথা ছিল কিন্তু তিনি বর্তমানে একশত টাকা পর্যন্তও যাদের খাজনা তাও পরিশোধ করে দিচ্ছেন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মেয়াদকালীন সময় পর্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং টেক্স পরিশোধের এ উদ্যোগটি জনমনে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে। জানা যায়, ইতিমধ্যে পূর্বের অর্থ বছরসহ ২০১৭-১৮ বছরের দরিদ্র পরিবারের হোল্ডিং টেক্স তিনি প্রদান করেছেন। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের তালিকা তৈরি করে টেক্স প্রদানের কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন বলে সূত্র জানায়।
কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ মো. শফি আলম ইউনুছ বলেন, একশত টাকা হোল্ডিং টেক্সের অন্তর্ভুক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠী পৌরসভার হোল্ডিং টেক্স পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হোল্ডিং টেক্স নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধ করে দিচ্ছি। এটি আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। যাদের জন্য সবুজ শ্যামল এই দেশ এবং লাল সবুজের পতাকা আমরা পেয়েছি। তাঁদের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এ ছাড়াও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একশত টাকা হোল্ডিং টেক্স নিজের তহবিল থেকে দিতে পেরে আনন্দিত। আমার মেয়াদান্তে ব্যক্তিগতভাবে এই টেক্সগুলো পরিশোধ করে যাব।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র জয়নাল আবেদীন বাচ্চু, কাউন্সিলর ইকবাল আহমদ শামীম, মনজুর আলম চৌধুরী খোকন, কায়সার আরিফ, লোকমান আলী ও হারুনুর রশিদ বলেন, অতীতে তিনজন মেয়র ছিলেন কেউই এমন উদ্যোগ নেননি। বর্তমান মেয়রের এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগ কুলাউড়া তথা দেশের নাগরিকবৃন্দ স্বাগত জানাবেন এবং এতে করে বিত্তবানরা উদ্বুদ্ধ হবেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩০শে ডিসেম্বর আলহাজ মো. শফি আলম ইউনুছ মেয়র নির্বাচিত হন। শপথ নিয়ে ১৬ সালের ৩১শে জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যে তারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কুলাউড়া পৌরসভা বি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উন্নীত হয়। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভার ৪র্থ মেয়র তিনি।