কক্সবাজারের চকরিয়ায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু মিয়া (৫৯) নামে শিশু ধর্ষণ মামলার এক আসামি নিহত হয়েছে। গতকাল ভোর ৪টায় উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের নাপিতখালি পাড়ায় এ বন্দুক যদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে র্যাব ১টি একনলা বন্দুক, ৩ রাউন্ড গুলি ও ২টি খালি খোসা জব্দ করেছে। নিহত আনু মিয়া বদরখালী নাফিতখালী ৩নং ব্লকের মৃত এরশাদ আলীর পুত্র।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন জানান, ২১শে ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টায় র্যাবের একটি আভিযানিক দল বদরখালী ইউনিয়নের নাফিতখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। ওই সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে। র্যাবও পাল্টা গুলি করলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তিকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ১টি ওয়ানশুটার গান, ৩ রাউন্ড গুলি এবং ২ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায় যে নিহত ব্যক্তি আনোয়ারুল ইসলাম আনু মিয়া (৫২)। উল্লেখ্য, গত ১১ই ফেব্রুয়ারি বদরখালীর নাফিতখালী এলাকায় ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে রাতে বাড়ি ফেরার পথে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে আনোয়ার। তিনি ওই মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষক আনোয়ার পালিয়ে যায়। পরে লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে চকরিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। শিশুটির পরিবার গত ১২ই ফেব্রুয়ারি ধর্ষক আনোয়ারের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মরদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তি গত ১১ই ফেব্রুয়ারি বদরখালী নাফিতখালী এলাকায় ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তিনি ওই মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ছিলেন।