× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গাজীপুরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আটক

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী থেকে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার

টঙ্গী বোর্ড বাজার এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ফরদুল ইসলাম মিলন ওরফে ভাঙ্গারি মিলনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক ভাঙ্গারি মিলন গ্রেপ্তার হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তাকে গ্রেপ্তারের খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন কাশেম বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বোর্ড বাজার এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজির উদ্দেশে প্রাইভেটকার নিয়ে অবস্থান করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ফরদুল ইসলাম মিলন ওরফে ভাঙ্গারি মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও ৪ রাউন্ড গুলি এবং তার প্রাইভেটকার তল্লাশি করে ৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে র‌্যাব।
পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উত্তরাস্থ র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মিলন গাজীপুর জেলার একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। সে মূলত জয়দেবপুর এলাকার একজন বড় মাপের ডিস ব্যবসায়ী। এই ডিস ব্যবসার অন্তরালে সে দীর্ঘদিন যাবৎ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এ ছাড়াও সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাজীপুর ও আশপাশ এলাকায় চাঁদাবাজি করে থাকে। এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত গার্মেন্ট ও শিল্প প্রতিষ্ঠান হতে সে নিয়মিত মোটা অঙ্কের মাসোহারা ও চাঁদা আদায় করত। এ ছাড়াও বিভিন্ন মার্কেটের দোকান/স্পেস বরাদ্দ পাওয়ার জন্য তাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হতো। সম্প্রতি সে ডিস লাইনের বণ্টন ও নিয়ন্ত্রণ কায়েমের অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ মহড়া দিত। গাজীপুর এলাকার ত্রাস সৃষ্টিকারী এই সন্ত্রাসীর নাম শোনা মাত্রই এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, গাড়ি পোড়ানোসহ ১০টি মামলা ও ১৭টি সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর