সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ১২ ক্লাবেরই ভেন্যু ছিল দেশের ফুটবলের প্রধান এ ভেন্যুটি। লীগের ১৩২ ম্যাচের সবই হয়েছে এখানে। হয়েছে ফেডারেশন কাপ আর স্বাধীনতা কাপেরও সব খেলা। ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক ও অন্যান্য মিলিয়ে গত বছর ২ শতাধিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এ স্টেডিয়াম। শুধু তাই নয়, ফুটবল ছাড়া অন্য খেলাও হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। যে কারণে মাঠের অবস্থা ভালো নয়। অনেক জায়গায় ঘাস উঠে গেছে, কখনও কখনও বল ঠিকমতো পায়েই আসে না। দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচের জন্য মাঠ নিয়ে অসন্তুষ্ট এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে এশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
গত ২৩শে জানুয়ারি এএফসি কাপে মুখোমুখি হয়েছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাব। ওই ম্যাচের পর মাঠ নিয়ে এএফসি’র কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন ম্যাচ কমিশনার, যে রিপোর্টে ছিল অনেক অভিযোগ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ যে আন্তর্জাতিক ম্যাচের উপযুক্ত নয়, সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। আগামী ৭ই মার্চ এএফসি কাপে মুখোমুখি হবে ঢাকা আবাহনী ও মালদ্বীপের নিউ রেডিয়েন্ট ক্লাব। রিপোর্টে তার আগেই মাঠ সংস্কারের তাগিদও দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘আমরা মাঠের পরিচর্যা করে যাচ্ছি, মাঠে ঘাসও লাগানো হয়েছে। আশা করি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। এএফসি থেকে নির্দেশনা এসেছে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি।’
বিভিন্ন দিবসেও এই স্টেডিয়াম ব্যবহার করা হয় বলে মাঠের ওপর চাপ পড়ে অনবরত। স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের অবস্থাও ভালো নয়। যে কারণে আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ রাতে আয়োজনের ঝুঁকি নিচ্ছে না বাফুফে। এএফসি কাপের সাইফ স্পোটিং ও টিসি স্পোর্টসের ম্যাচটিও ফ্লাড লাইটের কারণে দিনে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা আবাহনী ও নিউ রেডিয়েন্ট ক্লাবের ম্যাচটি দিনে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাফুফে।
এদিকে স্টেডিয়ামটি সংস্কারের কাজ এরইমধ্যে হাতে নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। প্রায় ৯২ কোটি টাকা বাজেট তারা জমা দিয়েছে মন্ত্রণালয়ে যা এখন রয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে অনুমোদন হলে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজে হাত দিবে সরকারি এ সংস্থাটি।