চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের কার্যক্রম সচল করতে সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে কেন্দ্রীয় সংসদ। চলতি মাসেই ঘোষণা হতে পারে চবি শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি। তবে কমিটিতে স্থান পেতে নিজ দলের কর্মী হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি ও দল থেকেই বহিষ্কৃত নেতারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। অবশ্য কেন্দ্রীয় নেতারা বলছে, ক্লিন ইমেজধারী, মেধাবী ও বর্তমান ছাত্রদেরই কমিটিতে মনোনয়ন দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চবি ছাত্রলীগে পৃথক দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে। গত দুই দশক ধরে নগর আওয়ামী লীগের দুই নেতার তদ্বিরে পদ পাওয়া রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। তাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের শীর্ষ পদ দু’টির জন্য দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছে পদ প্রার্থীরা। তবে একাধিক সূত্র জানায়, এবারে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদটি পেতে যাচ্ছে দু’গ্রুপের দু’জন।
সভাপতি পদে বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন, সাবেক সহ-সভাপতি এনামুল হক আরাফাত, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এইচএম তারেকুল ইসলামও রয়েছেন আলোচনায়। তাপস হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাবেক অর্থ সম্পাদক এসএম জাহেদুল আউয়ালও পদটি পেতে মরিয়া। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন জেমসও এ পদের প্রত্যাশী। বিলুপ্ত কমিটিতে পদ না পাওয়া নেতা সুলতান মাহমুদ সায়েমও রয়েছেন আলোচনায়। সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান সাব্বিরও রয়েছেন সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের তালিকায়।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- দিয়াজ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু তোরাব। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের দায়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি পেতে আলোচনায় রয়েছেন তাপস হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুলও। একই পদ পেতে সরব রয়েছেন সাবেক উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু, সাবেক উপ-সাহিত্য সম্পাদক ইমাম উদ্দিন পারভেজ ফয়সালও সাধারণ সম্পাদক পদটি পেতে মরিয়া। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দুটিতে ছাত্রত্ব ছাড়া কাউকে বসাবেনা বলে পূর্বেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ জানান, যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই এবং যারা বিভিন্ন সময়ে সংগঠনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদেরই বাছাই করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও বর্তমান ছাত্রদেরকেই প্রাধান্য দেয়া হবে।