‘এপার বাংলা ওপার বাংলা’ বাংলা ভাষার মেলবন্ধনে হই একাকার- এমন স্লোগানে ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে অমর একুশে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এতে করে দুই দেশের বাংলা ভাষাভাষিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্যরেখা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করে।
ভারতের উজ্জীবন সোসাইটি এবং বাংলাদেশের হিলির মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের যৌথ আয়োজনে বুধবার সকাল ১১টায় হিলি সীমান্তের শূন্যরেখার পাশে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অস্থায়ী বেদিতে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আগত অতিথিবৃন্দ যৌথভাবে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর পর শুরু হয় অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা, চলে দুপুর পর্যন্ত । অনুষ্ঠানে হিলি শিল্প কলা ও ভারতীয় শিল্পীরা দেশাত্মক বোধক গান ও নৃত্য প্রদর্শন করে অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করে তুলে। এ অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য সীমান্তের দুই পারের মানুষ, যারা এপার ওপার হতে পারেনি, তারা সীমান্তে দাঁড়িয়ে থেকে উপভোগ করেন অনুষ্ঠান। অনুুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা ভারতীয়রা জানান, ভাষার টানে তারা ছুটে এসেছেন সীমান্তে, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও মাতৃত্ববন্ধনের কাছে আবদ্ধ হয়ে আছেন, সীমান্তের তারকাঁটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলেও ভাষাকে কোনো তারকাঁটা দিয়ে আটকানো যাবে না, এটি এখন সার্বজনীন, কারণ এটি বাঙালির ভাষা।।