× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চাষাবাদে এখনো কুসংস্কার

বাংলারজমিন

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার

আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষি চাষাবাদে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রযুক্তির চাষাবাদে কৃষক বহুমুখী ফসল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে। কৃষির এ প্রযুক্তির সময়েও রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ফসল চাষাবাদে কৃষকের মাঝে কুসংস্কার বিরাজমান রয়েছে। গ্রামের কিছু কৃষক ফসল রোপণের পর ক্ষেতে পাখি হত্যা করে নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে হত্যাকৃত পাখি খুঁটি ঝুলে রাখছে। আবার কোনো কৃষক পুরাতন মাটির কাপড় দিয়ে মূর্তি বানিয়ে তা ক্ষেতে দাঁড় করে রাখছে। এসব কৃষকের ধারণা পাখি কিংবা মূর্তি ফসলের চারা রোপণের পর ক্ষেতে ঝুলিয়ে রাখলে বিভিন্ন প্রাণি ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে ক্ষেত নিরাপদ থাকে। তবে কিছু কৃষক মূর্তিকে কাকতাড়ুয়া বলে অভিহিত করে। এসব কৃষক জানান, কাকতাড়ুয়া ক্ষেতে ঝুলিয়ে রাখলে ক্ষেত নষ্ট কারী পাখির হাত থেকে ফসল রক্ষা পায়।
কৃষক কাজী মিয়া জানান, তিনি একটি কাক হত্যা করে ভুট্টা ক্ষেতে ঝুলিয়ে রেখেছেন বিভিন্ন প্রাণির আক্রমণ ক্ষেতে রক্ষা পেতে। একইভাবে কৃষক আইয়ুব আলী বলেন, তিনি রোপণকৃত বোরো ধান ক্ষেত নিরাপদের জন্য পুরাতন একটি শার্ট দিয়ে মানুষের মূর্তি বানিয়ে ক্ষেতে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এ ব্যাপারে বলেন, পাখি হত্যা করে ক্ষেতে দেওয়া ঠিক না। পাখি হত্যায় কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রাণি থেকে ক্ষেত রক্ষার্থে কৃষক কাকতাড়ুয়া ঝুলিয়ে রাখে। বর্তমান আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির চাষাবাদে এসব কুসংস্কার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর