খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালায় ইউপিডিএফের বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ১ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ১নং যৌথ খামার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী ঘটনাস্থল হতে নিহত সাইন চাকমার (২৮) লাশ উদ্ধার করে। নিহত সাইন চাকমা উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের রস্যামুনি কার্বারী পাড়া গ্রামের ভুবন বিজয় চাকমার ছেলে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গতকাল সকাল ৯টায় উপজেলার ১নং যৌথ খামার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফের বিবদমান প্রসীত বিকাশ পক্ষ এবং বর্মা পক্ষ সমর্থিত দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সাইন চাকমা (২৮) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় অনিল ত্রিপুরা (৪০), মিলন ত্রিপুরা (২৮) এবং রুবেল চাকমা (২৬) আহত হয়। আহত অনিল ত্রিপুরা অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
ভয়ে গ্রামের লোকজন বাড়িঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে নিরাপদে অন্যত্র চলে যায় বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফতে সাইন চাকমা নিহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনায় অনিল ত্রিপুরা (৪০), মিলন ত্রিপুরা (২৮) এবং রুবেল চাকমা (২৬) নামে আরো তিনজন আহত হয়েছে। এরমধ্যে আহত অনিল ত্রিপুরার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ প্রসীত বিকাশ পক্ষ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক বর্মা পক্ষকে দায়ী করেছে। ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) সদস্য সচিব জয়েলা চাকমা তরু জানান, ঘটনাটি ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক জড়িত নয়। দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সামসুদ্দিন ভুঁইয়া বন্দুকযুদ্ধের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে সাইন চাকমার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের বাম উরু এবং বুকের বাম পাশে বিদ্ধ হওয়া গুলির দাগ রয়েছে।