যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ফ্লোরিডায় একটি হাই স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা পথে নামে। তারা অস্ত্র বিক্রিতে আইন কড়াকড়ি করার দাবি জানায়। এ দাবিতে তারা বুধবার আইন প্রণেতাদের মুখোমুখি হয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে যাতে আর কোনো রক্তপাত না ঘটে সে বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন ট্রাম্প। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। টিনেজ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হোয়াইট হাউজে ব্যতিক্রমী লবিং করতে থাকেন। ফ্লোরিডায় শিক্ষার্থীরা ক্লাশরুম থেকে ওয়াকআউট করে।
তারা বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ র্যালি করতে থাকে। ফ্লোরিডা হামলা থেকে যেসব শিক্ষার্থী বেঁচে আছে তারা সাক্ষাত করেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল যেসব শিক্ষার্থী গুলিতে মারা গেছে তাদের পিতামাতারা। ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাদের সাক্ষাত একটি আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তাদের কথা শোনার পর ট্রাম্প বলেন, শিক্ষক ও স্কুলের অন্য স্টাফদের অস্ত্র রাখার ব্যবস্থা করলে ভবিষ্যতে এভাবে গুলি করে হত্যা প্রতিরোধে সহায়তা হবে। শক্তিধর ন্যাশনাল রাইফেল এসোসিয়েশন এমনই ধারণার প্রতি সমর্থন দিয়েছে আগেই। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অস্ত্র বিক্রেটাদের জন্য আইন কঠোর করবেন। সুনির্দিষ্ট ধরনের অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়টিও বিবেচনা করবেন। উল্লেখ্য, ১৪ই ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ড এলাকার মেজরিটি স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে সন্ত্রাসী হামলা হয়। সেখানে ১৭ শিক্ষার্থী ও কয়েকজন শিক্ষককে হত্যা করা হয়। এ হামলা চালিয়েছিল ১৯ বছর বয়সী ছাত্র নিকোলাস ক্রুজ। সে প্রায় এক বছর আগে এআর-১৫ অস্ত্র কেনে। সেই অস্ত্র দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এরপরই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবি জোরালো হতে থাকে।