রূপগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতাধীন অগ্রণী সেচ প্রকল্প ও নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্পের পানি নিষ্কাশনের প্রধান খালটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন শিল্প কারখানার পাশাপাশি স্থানীয়রা ময়লা আবর্জনা ফেলে সেচ ক্যানেল ভরাট করে ফেলেছে। যার ফলে প্রকল্প দুটির নিম্নাঞ্চলের মানুষ সারা বছরই জলাবদ্ধতার পানিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার সেচ প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের আউখাবো, বলাইখা, ভাণ্ডাবো, ভুলতা বাজার, শিংলাবো, আমলাবো এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি নিষ্কাশন খালটি ভরাট হয়ে গেছে। স্থানীয় শিল্প কারখানার ময়লা ও এলাকাবাসী সরাসরি পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত খালের মধ্যে ফেলছে। ফলে কোনো কোনো এলাকায় পানি নিষ্কাশনের খালটি সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে গেছে। বেশ কিছু এলাকায় এ খাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ কারণে এ খালের আশেপাশে গড়ে উঠা বসতবাড়িতে বসবাস করাই দায় হয়ে পড়েছে।
দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগ বালাই। এ ব্যাপারে দেখার কেউ নেই বললেই চলে। স্থানীয় টাচ্ স্টোন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সুমন মিয়া জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অগ্রণী সেচ প্রকল্প ও নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্পের পানি নিষ্কাশন খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো এলাকা তলিয়ে যায়। বৃষ্টি হলেই বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অবিলম্বে সেচ খালটি পুনঃখনন জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাসান মিয়া জুয়েল জানান, সেচ প্রকল্পের খালগুলো একাধিকবার উদ্ধার করে খনন করা হয়েছিল। স্থানীয় শিল্প কারখানার বর্জ্য ও এলাকাবাসী ময়লা আবর্জনা ফেলে খালটি প্রতি বছরই ভরাট করে ফেলে। যার কারণে বৃষ্টি মৌসুমে নিম্নাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অচিরেই পানি নিষ্কাশন খালটি পুনঃখননের কাজ শুরু করা হবে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারি খাল দখল, ভরাট করা বেআইনি। শিল্পকারখানার বর্জ্য সেচ প্রকল্পের খালে সরাসরি না ফেলার জন্য মালিকদের নোটিশ করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, সেচ প্রকল্পের প্রধান খালসহ সবগুলো ক্যানেল পুনঃখনন করা হবে। সেচ খালে যদি কোনো শিল্পকারখানার বর্জ্য, ময়লা ফেলে বন্ধ করে দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।