× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১২ প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ মামলা /গোলাপগঞ্জের সাবেক মেয়র পাপলুসহ ৪ জন কারাগারে

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার

দুর্নীতির মামলায় জেলে গেলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক আলোচিত মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু। গতকাল তিনি সিলেটের জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. গোলাম মর্তুজা মজুমদার দুদকের দায়ের করা মামলায় পাপলুসহ ৪ জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ভুয়া ১২ প্রকল্পের নামে টাকা আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া আহমদ পাপলুসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। পাপলু ছাড়া অন্যরা হচ্ছেন- অনির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব যুগেশ্বর চ্যাটার্জি, কার্যসহকারী সাব্বির আহমদ এবং অফিস সহকারী জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু জানিয়েছেন- আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দুদক সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়- ২০১৫ সালে ১২টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে তৎকালীন মেয়র পাপলু প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৭২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর মামলা করা হয়। মেয়র থাকাকালে পাপলুর বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৫ সালের ১১ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৃথক তারিখে ১৪টি স্মারকে অফিস আদেশ স্বাক্ষর এবং ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পের বিল বাবদ ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৭৪ টাকা বিল উঠানো হয়। এর মধ্যে আসামিরা ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭২২ টাকা আত্মসাৎ করেন। দুদকের সরেজমিন অনুসন্ধানে ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টির এবং মাস্টাররোলে শ্রমিকদের নাম-ঠিকানার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পৌরসভার কর্মচারী দুলাল আহমদের নামে দু’টি প্রকল্প বানিয়ে তার স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ করেন। দুলাল জানান, তার স্বাক্ষর জাল করে সাবেক মেয়র এই টাকা উত্তোলন করেছেন। তিনি এসবের কিছুই জানেন না। এ ছাড়া পৌরসভার বিলবোর্ড না লাগিয়ে আসামি সাব্বির আহমদ ৩৯ হাজার ৭২২ টাকা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৬ সালে মেয়রসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মামলা করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর