বাহুবলে আনন্দ-উৎসবে সপ্তদশ একুশে বইমেলা শেষ হয়েছে। ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি ৫ দিনব্যাপী মেলা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হয়। শেষ দিনে বইমেলা প্রাঙ্গণে মানুষের ঢল নেমেছিল। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা আরো বেড়ে যায়। বিকেলে মেলায় তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। সন্ধ্যার পর মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। বইমেলায় মানুষের ঢল নামে মূলত সকাল ১০টার পর। সাদাকালো শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরে এসেছিলেন ছেলেমেয়েরা।
গালে, কপালে, পোশাকে ছিল বর্ণমালা। এরপর বেলা যত বেড়েছে মানুষের স্রোত তত বেড়েছে। বইপ্রেমীদের ভিড়ে মেলা প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছিল লোকারণ্য। এবারের মেলায় বুকস্টলগুলোতে রেকর্ডসংখ্যক বই বিক্রি হয়েছে। এতে স্টল মালিকদের মুখে ফুটেছে হাসি। দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় দেখে বুকস্টল মালিকরা মেলাটিকে আরো ২ দিন সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করলে মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জসীম উদ্দিন আগামী বছরের মেলাকে ৭ দিনব্যাপী করার আশ্বাস দেন। সর্বশেষে বইমেলার আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ড্র শেষে র্যাফেলে মোটরসাইকেল বিজয়ী শিক্ষক অপু আচার্য্যসহ ১০ জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এ বছর মেলায় ৩১টি বুকস্টল অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাহুবল (ইউসেব) পরিচালিত ‘একুশে’ সেরা বুকস্টল হিসেবে নির্বাচিত হয়। এছাড়াও ইসলামী বই বিতরণী দ্বিতীয় ও কিশলয় বুকস্টল তৃতীয় স্থান অর্জন করে।