আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে ইউনেস্কো। জাতিসংঘের সংস্থাটির এশিয়া-প্যাসিফিকের আঞ্চলিক পরিচালক মাকি হায়াশিকাওয়া ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে বাংলাদেশের ভূমিকা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউনেস্কোর এশিয়া-প্যাসিফিকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে ‘ভাষা শহীদ দিবস’ অনুষ্ঠানে এ প্রশংসা করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকে প্রতিবছর দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে বিশ্বের দেশগুলো। দূতাবাসটি ইউনেস্কো এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক কার্যালয় প্রাঙ্গণে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনা এবং বহুভাষী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেখানে ২০টির বেশি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা তাদের মাতৃভাষায় বহুভাষিক উপস্থাপনা প্রদর্শন করেন।
ভারত, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, বেলজিয়াম, নাইজেরিয়া, কাজাখস্তান ও সুদানের দূতাবাস, থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনেস্কো কমিশনের মহাসচিব এসআইএল ইন্টারন্যাশনাল এবং থামাসেট বিশ্ববিদ্যালয় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেয়।
তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মহান শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম। এছাড়া, ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত কারাগারে থেকেও ভাষা আন্দোলনে অনুপ্রেরণা ও নেতৃত্ব দেয়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইউনেস্কো এবং অন্যান্য আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। যাতে বিশ্বের সাত হাজারের বেশি ভাষা সংরক্ষণ ও গবেষণায় এটি সক্ষম হতে পারে। এছাড়া রাষ্ট্রদূত তাসনিম সংস্কৃতির বৈচিত্র্য বিকাশ ও বহুভাষিক দক্ষতা অর্জনের জন্য শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন এবং সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।