× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা /কাটেনি একুশের আবহ, আজ সকালে খুলবে ঝাঁপি

দেশ বিদেশ

মুনির হোসেন
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার

একুশের আবহ এখনো কাটেনি, প্রাণের মেলায় বইছে মাতৃভাষা দিবসের রঙ। গত বুধবারের মতো জনতার স্রোত এদিনও ছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। হাতে-মুখে আলপনা, পোশাকে বাংলা বর্ণের নানাবিধ ব্যবহারে ফুটে উঠেছে বাংলার প্রতি মমত্ববোধের চিত্র। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ঘুরে দর্শনার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকালকের মেলায় খুব কম দর্শনার্থীকেই খালি হাতে ফিরতে দেখা গেছে। দর্শনার্থীদের অধিকাংশের হাতেই ছিল নতুন বই। মেলার শেষ সময় বলেইতো এমন চিত্র। কারণ, পাঠকের পছন্দের নতুন বইয়ের অধিকাংশই এখন মিলছে প্রাণের মেলায়।
পাঠকের উপচেপড়া ভিড়ে বেচাকিনাও চলছে বেশ- জানিয়েছেন প্রকাশকরা। অন্বেষা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী উত্তম বিশ্বাস বলেন, ‘বেচাবিক্রিতো গত কয়েকদিন ধরেই ভালো চলছে। আজো তার ব্যতিক্রম নয়।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র রায়হানুল ইসলাম আবির বলেন, ‘মেলায় সাধারণত মাঝামাঝি সময় থেকেই বেশির ভাগ নতুন বই আসে। তাই এ সময়ে প্রিয় লেখকের নতুন বই না পেয়ে ফিরতে হয় না। আমরা যারা পাঠক তারাও চাই শেষ সময়েই বই কিনতে।’ কাকলী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী নাসির উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘বেচাবিক্রি ভালো চলছে। গতকালকের মতোই ধরতে গেলে।’ তিনি বলেন, ‘পাঠক মেলায় এসে এখন আর খালি হাতে ফিরছেন না।’ এদিকে আজ সকাল থেকেই শুরু হবে গ্রন্থমেলা। মেলার আজ সপ্তম শিশুপ্রহর। মেলার ঝাঁপি খুলবে সকাল ১১টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এবারের মেলায় সর্বোচ্চ আট দিন শিশুপ্রহর পাওয়া যাচ্ছে। সঙ্গে একুশে ফেব্রুয়ারিও বিশেষ দিন হিসেবে বাড়তি পাওয়া ছিল সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আজ শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর হবে প্রাণের মেলা। বাবা-মায়ের হাত ধরে তারা মেলায় আসবে, বিমোহিত হবে নতুন বইয়ের গন্ধে। পছন্দের বই কিনতেও ভুলে না ওরা।
মেলায় ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক বই: এবারের মেলায় ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক তেমন কোনো বই আসেনি। তবে আগেকার মেলাগুলোতে আসা অনেকগুলো ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক বই পাওয়া যাচ্ছে গ্রন্থমেলায়। কাকলী প্রকাশনী থেকে এবারের মেলায় বের হয়েছে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন’র ‘একুশে রক্তপলাশ’। এ ছাড়া গত কয়েকবার মেলায় আসা ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক বইয়ের মধ্যে রয়েছে- কাকলী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ড. মোহাম্মদ হাননান এর ২১শে ফেব্রুয়ারি জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক, ভাষাসৈনিক ডা. ননীগোপাল সাহ এর আমার দেখা ভাষা আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনীতি, আসলাম সানী সম্পাদিত একুশের ছড়া-কবিতা; বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ভাষা-আন্দোলনের শহীদেরা, মনসুর মুসার লেখা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা; মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত আহমদ রফিকের লেখা ভাষা আন্দোলনের কথা, বিশ্বজিৎ ঘোষের লেখা ভাষা আন্দোলনের ৫০ বছর, সেলিনা হোসেন এর লেখা বায়ান্ন থেকে একাত্তর ইত্যাদি।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার প্রদান: এদিকে সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে কানাডা-প্রবাসী কবি মাসুদ খান এবং যুক্তরাজ্য-প্রবাসী কবি মুজিব ইরম এর হাতে তুলে দেয়া হয় বাংলা একাডেমি পরিচালিত সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার ২০১৭।
শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন: এদিকে অমর একুশে উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে গ্রন্থমেলায় গতকাল শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক সাহিত্য শীর্ষক আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন।
সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ফকরুল আলম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের অনুবাদক ও গবেষক রাধা চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে বেলা ১২টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার কথাসাহিত্য বিষয়ে ভারতের লেখক অরুণা চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের ড. ফিরদৌস আজিমের আলাপচারিতা। বেলা আড়াইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার কথাসাহিত্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে মূল বক্তব্য উপস্থান করেন রিফাত মুনিম। আলোচনায় অংশ নেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শ্রীলঙ্কার সাহিত্যিক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক জি বি দিশানায়েক, কলম্বিয়ার কথাসাহিত্যিক আন্দ্রেজ মাউরিসিয়ো মুনজ এবং খালিকুজ্জামান ইলিয়াস। বিকাল সোয়া ৪টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ান থিয়েটার বিষয়ক আলোচনা পর্ব। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন রামেন্দু মজুমদার। আলোচনায় অংশ নেন শফি আহমেদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ এবং ভারতের নাট্যজন অংশুমান ভৌমিক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর