× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কাদিরাবাদ সেনানিবাসে প্রধানমন্ত্রী /সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে

দেশ বিদেশ

ইসাহাক আলী, নাটোর থেকে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো অশুভ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যেন দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আধুনিক, উন্নত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সেনাবাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। দেশ ও আন্তর্জাতিক নানা দুর্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রেখে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারা তাদের একাগ্রতা কর্মদক্ষতা ও নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সর্বজনীন আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীকে আরো সমৃদ্ধ করতে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের ষষ্ঠ পুনর্মিলনী ও অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। পবিত্র সংবিধান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
সেনাবাহিনী তারা তাদের একাগ্রতা কর্মদক্ষতা ও নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সর্বজনীন আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। জাতিসংঘ মিশন ও মিয়ানমার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বিশ্বে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এছাড়া দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় দুর্গতদের সাহায্য ও সহযোগিতা করে সশস্ত্র বাহিনী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের পারিবারিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর  সঙ্গে আমাদের রয়েছে সুদৃঢ় সম্পর্ক। আমার দুই ভাই সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত ছিল ছোট ভাই রাসেলেরও বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকরা সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আপনাদের মাঝে আমি আমার হারানো ভাইদের খুঁজে পাই। পরে তিনি সেনাবাহিনীতে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য উন্নত, পেশাদার এবং প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে ১৯৭৪ সালে একটি প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেন। সেই নীতিমালার আলোকে ‘আর্মড ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করে সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছি। এ সময় সেনাবাহিনীর উন্নয়নে তার সরকারের বিগত ও বর্তমান সময়ের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬-২০০০ মেয়াদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যাপক উন্নয়ন ও কল্যাণ সাধন করা হয়েছিল। বর্তমান সরকারের ৯ বছরে আমরা সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছি।  
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। বর্তমান সরকারের ৯ বছরে আর্থসামাজিক প্রতিটি খাতে দেশ যুগান্তকারী উন্নয়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল। মানুষ উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে দেশের উন্নয়নের ৯০ ভাগ কাজই আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করেছি। এ সময় তিনি জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি, দরিদ্রতার হার হ্রাস ও রেমিটেন্স বৃদ্ধির নানা সমীকরণ তুলে ধরেন। বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য খাতে সরকারের উন্নয়ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি।
কোনো অশুভ ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যেন দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশ মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের আগেই উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের ষষ্ঠ পুনর্মিলনী ও অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠানে পৌঁছালে তাকে প্রথমে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহম্মেদ সিদ্দিক, নৌ বাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাসহ ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিরত কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি কুচাকওয়াজ ও সালাম গ্রহণ করেন। তিনি বেলা ১১টার দিকে আকাশপথে ঢাকা থেকে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে এসে পৌঁছান। অনুষ্ঠান শেষে তিনি রাজশাহীতে দলীয় সমাবেশে অংশ নেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর