× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আবাহনীর জয়ে ম্যাচসেরা ‘বিজয়-মাশরাফি’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার

ঘরোয়া লিস্ট-এ আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে টানা পঞ্চম জয় কুড়ালো আবাহনী লিমিটেড। গতকাল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ৪৭ রানে জয়ী হয় গতবারের রানার্সআপ দলটি। ম্যাচের প্রথমভাগে আবাহনীর ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি হাঁকান এনামুল হক বিজয়। পরে বল হাতে পাঁচ উইকেট নেন পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা। এতে খেলা শেষে ম্যাচসেরার পুরস্কার ভাগাভাগি করেন তারা। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে (বিকেএসপি-৪) টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন আবাহনী লিমিটেডের অধিনায়ক নাসির হোসেন। আর ১২২ বলে ১১৬ রান করেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। শেষের দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ৪৯ রানের সুবাদে ২৭০/৭ সংগ্রহ নিয়ে ইনিংস শেষ করে আবাহনী।
জবাবে ২৭ বল অব্যবহৃত রেখে ২২৩ রানে গুঁড়িয়ে যায় শেখ জামাল ধানমন্ডির ইনিংস। ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আবাহনীর বল হাতে ৮.৩ ওভারের স্পেলে ২৯ রানে পাঁচ উইকেট নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২৪৭ ম্যাচের লিস্ট-এ ক্যারিয়ারে মাশরাফির এটি চতুর্থবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার। ইনিংসের শুরুতে স্বস্তি ছিল না আবাহনীর। ১২তম ওভারে দলীয় ৪৩ রানে তৃতীয় উইকেট খোয়ায় নাসির বাহিনী। ওপেনার সাইফ হাসান ৮, নাজমুল হোসেন শান্ত ১ ও অধিনায়ক নাসির হোসেন উইকেট খোয়ান ব্যক্তিগত ১১ রানে। আর ব্যক্তিগত ১৪ রানে মোহাম্মদ মিঠুন সাজঘরে ফিরলে ১৯.৫তম ওভার শেষে আবাহনীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৪/৪-এ। তবে পঞ্চম উইকেটে ১২৫ রানের জুটি গড়েন বিজয় ও মোসাদ্দেক। ১২২ বলে ১১৬ রানের ইনিংসে আধাডজন চার ও এক গণ্ডা ছক্কা হাঁকান বিজয়। আর লেজের দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সানজামুল ইসলামের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত বড় পুঁজি পায় আবাহনী লিমিটেড। ৮ ও ৯ নম্বরে ব্যাট হাতে মিরাজ ১৮ বলে ৩৪ ও সানজামুল করেন ১৫ বলে ২৪ রান। জবাবে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন শেখ জামালের শুরুর পাঁচ ব্যাটসম্যানের প্রত্যেকেই। ভারতীয় রিক্রুট ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান জলজ সাক্সেনা করেন ৪৩ রান। ওপেনার সৈকত আলী উইকেট খোয়ান ব্যক্তিগত ৩১ রানে। জিয়াউর রহমান ১, ইলিয়াস সানি ১৬ ও সোহাগ গাজী রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরলে ২৮.২ ওভার শেষে ১১৯/৫ সংগ্রহ নিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি। জামালের ইনিংসে ব্যাট হাতে একাই লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক সোহান। ৬১ বলে ৮৩ রানের মারকুটে ইনিংসে সোহান হাঁকান ১০টি চার ও চারটি ছক্কা। দলীয় ২০৫ রানে সোহান আবাহনীর বাঁ-হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের বলে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিলে আশা ফুরায় শেখ জামাল ধানমন্ডির। এদিন ইনিংসের শুরুতেই মাশরাফির বোলিং তোপের মুখে পড়ে শেখ জামাল। যথাক্রমে ইনিংসের পঞ্চম ও নবম ওভারে শেখ জামালে ওপেনার জিয়াউর রহমান ও সৈকত আলীকে সাজঘরে ফেরান ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত এ পেসার। আর তিন স্পিনার সানজামুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকলাইন সজীবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে শিরোপাপ্রত্যাশী আবাহনী। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে আবাহনী লিমিটেডকে দেখাচ্ছে জাতীয় দলের ছায়ার মতো। গতকাল আবাহনীর একাদশ সাজানো হয় জাতীয় দলের বর্তমান ও সাবেক ১০ খেলোয়াড় নিয়ে। একাদশে সুযোগ পান ১৯ বছর বয়সী নবীন পেসার হোসেন আলীও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আবাহনী-শেখ জামাল
টস: আবাহনী ব্যাটিং
আবাহনী লিমিটেড: ৫০ ওভার; ২৭০/৭ (বিজয় ১১৬, মোসাদ্দেক ৪৯, মিরাজ ৩৪, সানজামুল ২৪, রবিউল ৩/৪৭, সোহাগ ১/১০, জলজ ১/৪০)।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৪৫.৩ ওভার; ২২৩ (সোহান ৮৩, জলজ ৪৩, সৈকত ৩১, আল ইমরান ২৪, মাশরাফি ৫/২৯, মিরাজ ২/৪৪, সাকলাইন ১/৩৫)।
ফল: আবাহনী ৪৭ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: মাশরাফি ও বিজয় (আবাহনী)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর