ফুলবাড়ীয়া-ময়মনসিংহ রোডে সিএনজি থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মালিক, চালক ও শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্যে সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। গত ২১শে ফেব্রুয়ারি বিকাল থেকে আন্দোলনে নামে তারা। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
চালক ও মালিকরা জানিয়েছেন, ফুলবাড়ীয়া থেকে ময়মনসিংহগামী সিএনজি থেকে আগে প্রতিদিন ১০ টাকা চাঁদা উত্তোলন করা হতো এখন সেই চাঁদা দিতে হয় ১০০ টাকা। প্রতিদিন গাড়ির গ্যাস নেয়ার জন্য ময়মনসিংহে যেতে হয় তার জন্যে তিন স্তরে চাঁদা দিতে হয়। অন্যান্য রোডে এক স্থানে চাঁদা দিলে ওই রোডে আর কোথাও চাঁদা দিতে হয় না। কিন্তু ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশ করলে আমাদের তিনটি স্থানে চাঁদা দিতে হয়। বাইপাস ফুলবাড়ীয়া অংশে ৪০ টাকা, বাইপাস ময়মনসিংহ অংশে ৩০ টাকা, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মোড়ে ৩০ টাকা। থানার মাসিক চাঁদা হিসাবে প্রতিমাসে দিতে হয় ৪০০ টাকা।
তারা আরো জানান, পৌরসভার রশিদে লেখা আছে ১০ টাকা নেয়া হয় ২০ টাকা, শ্রমিক কল্যাণের রশিদে একই ধরনের লেখা।
গত সপ্তাহে আবারো বাড়ানো হয়েছে চাঁদার অঙ্ক। চালকদের অভিযোগ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে চাইলে বাইপাসের দু’প্রান্তে টাকা দেয়ার পরও সেই রশিদের কোনো ভ্যালু (মূল্য) থাকে না। আবারো দিতে হয় চাঁদা। চাঁদাবাজি ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ করতে তাদের আন্দোলনে স্থানীয় শ্রমিক নেতারাও একমত পোষণ করেছেন। ফুলবাড়ীয়া সিএনজি, অটো-টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মনির উদ্দিন জানান, শ্রমিকদের নিয়ে আমার কাজ, তাদের পাশে আছি, তারা নির্যাতিত হোক সেটি আমি চাই না।