বাজিতপুরে পারিবারিক শত্রুতার জেরে তুয়াব নামের পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচর উপজেলার বড়খারচর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় শিশু অপহরণকাণ্ডে জড়িত আঞ্জু আক্তার (২৫) নামের এক নারীকে আটক করা হয়। আটক আঞ্জু আক্তার বাজিতপুর উপজেলার গাজীরচরের পাশশু মিয়ার মেয়ে ও অপহৃত শিশুর বড় বোনের বান্ধবী। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া শিশু তুয়াব একই গ্রামের বাসিন্দা মো. আমির উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আমির উদ্দিনের যুবতী মেয়ে ইতি আক্তার এবং প্রতিবেশী পাশশু মিয়ার মেয়ে আঞ্জু আক্তার পরস্পরের বান্ধবী। সম্প্রতি তাদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। দুই বান্ধবীর এই মনোমালিন্যের জের ধরে বেশ কিছুদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। এ পরিস্থিতিতে বান্ধবী ইতির পরিবারকে শায়েস্তা করতে তার ছোট ভাই তুয়াবকে অপহরণের পরিকল্পনা করে আঞ্জু আক্তার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে তুয়াবকে মজা খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে আঞ্জু আক্তার ডেকে নিয়ে যায়। পরে শিশু তুয়াবকে নিয়ে প্রথমে কুলিয়ারচর ও গাজীপুর হয়ে আবারো কুলিয়ারচরে আত্মগোপন করে আঞ্জু আক্তার। শিশুটির খোঁজে পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করলে আঞ্জু আক্তারের সঙ্গে তুয়াবকে দেখেছেন বলে কয়েকজন জানান। বৃহস্পতিবার রাতে
এ ব্যাপারে তুয়াবের বাবা মো. আমির উদ্দিন বাজিতপুর থানায় আঞ্জু আক্তারকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে তুয়াবকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারী আঞ্জু আক্তারের অবস্থান সনাক্ত করার পর বাজিতপুর থানার ওসি মো. সাইফুর রহমান মজুমদার পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে কুলিয়ারচরের বড়খারচর থেকে আঞ্জু আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় সুস্থ অবস্থায় অপহৃত শিশু তুয়াবকেও উদ্ধার করে পুলিশ।