× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গণধর্ষিতার বাড়িতে ককটেল হামলা ১১ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষকরা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার

নোয়াখালীতে পুলিশ পরিচয়ে এক কিশোরীকে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে গণধর্ষণের ১১ দিন পরও পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। ঘটনার পর মামলা হলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ ভিকটিমের পরিবারের। মামলা প্রত্যাহারে ধর্ষিতার বাড়িতে বোমা হামলা করা হয়েছে। ৭ই ফেব্রুয়ারি রাতে চাটখিল উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে মঙ্গলবার রাতে কিশোরীর বাড়িতে ককটেল হামলা করা হয়েছে। এছাড়া মামলা প্রত্যাহার করে না নিলে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার বিষয়ে জানতে ভিকটিম, চাটখিল থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নিজ কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ। কিশোরীর মা বলেন, ৭ই ফেরুয়ারি আমার মেয়ে তার মামাবাড়ি বেড়াতে যায়।
সেদিন রাতে ওই বাড়ি থেকে নোয়াখলা ইউনিয়নের মজিবুর রহমান শরীফ, কামাল ও জামালসহ ৬ জন পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণের পর তাকে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। রাতেই চাটখিল থানায় ঘটনাটি অবহিত করে মামলা করতে চাইলে পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। কিশোরীর মা আরো বলেন, পরে নোয়াখলা মজিবুর রহমান শরীফের নাম বাদ দিয়ে ১০ ফেরুয়ারি দুজনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত চারজনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেয় পুলিশ। তিনি বলেন, ১০-১১ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি। মামলা করার কারণে মঙ্গলবার রাতে আমাদের বাড়িতে ৫-৬টি ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। পরে পুলিশকে জানালে রাতে তারা ঘটনাস্থলে আসে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। চাটখিল থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার বলেন, ১০ই ফেরুয়ারি কিশোরীর মা বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। মামলা দায়েরের পর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। তিনি আরো বলেন, মেয়েটি যাদের নাম বলেছে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর