× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বদরগঞ্জে বীজাগারগুলো তিন যুগ ধরে পরিত্যক্ত

বাংলারজমিন

বদরগঞ্জ (রংপুর) সংবাদদাতা
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার

 রংপুরের বদরগঞ্জে দুর্যোগ মৌসুমে কৃষি বীজের সংকট মোকাবিলায় উন্নত মানের বীজ সংরক্ষণ ও কৃষি তথ্য সরবারহের লক্ষ্যে ১০ ইউনিয়নে গড়ে তোলা সব বীজাগার তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। অব্যবহৃত এসব বীজাগারের দেয়াল ও পলেস্তারা খসে পড়েছে। এ সুযোগে স্থানীয়রা দখলে নিচ্ছে বীজাগারে জায়গা। এরপরও কৃষি বিভাগ জায়গা উদ্ধারে ও জরাজীর্ণ এসব ভবন সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে কৃষি সম্প্রসারণের জন্য সরকার বীজাগার স্থাপন করে। দুর্যোগ মৌসুমে বীজ সংরক্ষণ, কৃষি তথ্য সরবরাহ, একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিস ও আবাসন হিসেবে গড়ে তোলা এসব বীজাগার দেখভালের অভাবে এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন যুগের বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ওই বীজাগার কেন্দ্রগুলোর দেয়াল ও ছাদ ধসে পড়েছে।
দরজা ও জানালা নষ্ট হয়ে গেছে। কয়েকটি কেন্দ্রের জায়গা এলাকার প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে নিজের কাজে ব্যবহার করছে। পরিত্যক্ত এসব কেন্দ্রের ভেতরে ঝোপঝাড়ে ভুতড়ে পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কৃষি অফিসের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতা বীজাগার কেন্দ্রগুলোর জমি দখলে নিচ্ছে এলাকার প্রভাবশালীরা। এসব জমি উদ্ধারে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ নিলেও রহস্যজনক কারণে তা থেমে যাচ্ছে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বুজরুক হাজিপুর এলাকার কৃষক মমিনুল ইসলাম (৫৫) বলেন, ‘এক সময় ইউনিয়ন বীজ কেন্দ্রগুলো থেকে কৃষকেরা আপৎকালীন বীজ সংগ্রহ করা ছাড়াও কেন্দ্রগুলো থেকে কৃষি বিষয়ে নানা পরামর্শও পেতেন। কিন্তু বর্তমানে এগুলোর কার্যক্রম না থাকায় কৃষকেরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’ রামনাথপুর ইউনিয়নের টেক্সের হাট এলাকার কৃষক নজমুল হক বলেন, ‘বাহে আগোত ইউনিয়নের বীজ কেন্দ্র থাকি বীজ পাছনো। কৃষি স্যার আসি পরামর্শও দিছিল। কিন্তু এই অফিসগুলা নষ্ট হওয়ার পর এখন কিছুই পাওছিনা।’
উপজেলার ওসমানপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকতা মাহামুদুল হাসান বলেন, ‘আপৎকালীন সময়ের জন্য বীজ সংরক্ষণ ও কৃষি সেবার পাশাপাশি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য সিড হাউজগুলো গড়া তোলা হয়েছিল। সংস্কার ও কার্যক্রম না থাকায় এগুলো পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। এ কারণে কিছুটা কৃষি সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে তিনি জানান।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান বলেন, ‘বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন বীজাগারের জরাজীর্ণ ভবনগুলো সংস্কারে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর