গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসকদের রহস্যজনক ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল এ ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, সাদুল্যাপুর উপজেলার বড় জামালপুর গ্রামের সৈয়দ মোরতোজা আলীর সঙ্গে একই সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ গংদের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ৩রা নভেম্বর সকালে আবুল কালাম ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে মোরতোজা আলী গংদের বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এতে মোরতোজা আলীর ছেলে শাকিল মিয়া (১৮) মারাত্মক গুরুতর আহত হয়। পরে ওইদিন (৩রা নভেম্বর) আহত শাকিল মিয়াকে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান তার স্বজনেরা। এ বিষয়ে মোরতোজা আলী বাদী হয়ে আবুল কালাম গংদের বিরুদ্ধে সাদুল্যাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে রোগী শাকিলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হারুন-অর-রশিদ ৭ই নভেম্বর শাকিলকে ছাড়পত্র দিয়ে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
অপরদিকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হারুন-অর-রশিদ ও ডা. মোহাম্মদ সুলতানুল আরেফীন ওই মামলার আসামিদের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে একটি ইনজুরি সার্টিফিকেট প্রদান করেন। ওই সার্টিফিকেটে শাকিলকে ৩রা নভেম্বরই ভর্তি এবং ছুটি দেখানো হয়েছে। অথচ ডা. হারুন-অর-রশিদ ৭ই নভেম্বর শাকিলকে ছাড়পত্র দিয়ে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। যা রহস্যজনক ঘটনা। ওই মামলার বাদী মোরতোজা আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ডা. হারুন-অর-রশিদ ও সুলতানুল আরেফীন কর্তৃক বিবাদীগণের নিকট মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভুয়া ও বিভ্রান্তমূলক একটি ইনজুরি সার্টিফিকেট প্রদানের কারণে আমার মামলার মোটিভ দুর্বল বা মিথ্যা প্রমাণের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। মামলার বিবাদী আবুল কালাম আজাদ জানান, উল্লেখিত বিষয়ে আমার জানা নেই। কাকে কিভাবে সনদ দেয়া হয়েছে এজন্য আমি দায়ী নই।
সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. হারুন-অর-রশিদ ও সুলতানুল আরেফীন বলেন, ভুলবশত ইনজুরি সনদপত্রটি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হয়েছে।