× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর ভারত সফরে খালিস্তান জঙ্গি বিতর্ক

দেশ বিদেশ

কলকাতা প্রতিনিধি
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার

সাতদিনের সফরে সপরিবারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতে এসেছেন। রাজধানী দিল্লি, আগ্রার তাজমহল, আমদাবাদে সবরমতি আশ্রম থেকে অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরসহ বিভিন্ন জায়গা একেবারে ভারতীয় সাজে সেজে ঘুরে বেরিয়েছেন জাস্টিন ও তার পরিবার। কিন্তু খলিস্তানি কাঁটা বারে বারে এই সফরের মাঝে বিতর্ক তৈরি করেছে। এবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে খলিস্তানি জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত জসপল অটওয়ালের উপস্থিতি নিয়ে। মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে অটওয়ালকে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী সোফি  ট্রুডো ছাড়াও কানাডার পরিকাঠামো এবং কমিউনিটি মন্ত্রী অমরজিত সোহিরর সঙ্গেও দেখা গিয়েছে ছবি তুলতে। শুধু তাই নয়, নয়াদিল্লিতে কানাডার হাইকমিশনে এক নৈশভোজেও আমন্ত্রিত ছিলেন অটওয়াল। যদিও জানাজানি হওয়ার পর সেই আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জানিয়েছেন, মুম্বই ও দিল্লিতে তাঁর দুটি সরকারি অনুষ্ঠানে খলিস্তানি জঙ্গি অটওয়ালকে আমন্ত্রণ জানানোর ফলে তাঁর সফরের মাঝপথে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারা তাকে আমন্ত্রণ জানিযেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার কথাও তিনি জানিয়েছেন।  কানাডার এমপি রনদীপ সরাই অবশ্য সমস্ত দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক অটওয়ালের মতো  জঙ্গি কীভাবে ভারতীয় ভিসা পেয়েছে তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। এনআইএ সূত্রে জানা গেছে, জসপল অটওয়াল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের সক্রিয় সদস্য। এমনকি ১৯৮৬ সালে কানাডার ভ্যাঙ্কুয়ার দ্বীপে ভারতের সাবেক মন্ত্রী মলকিয়াত সিংহ সিধুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে জসপলের বিরুদ্ধে। এজন্য তার সাজাও হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক প্রথম থেকেই  ট্রুডের সফর নিয়ে শীতল মনোভাব দেখিয়েছে। দিল্লিতে ট্রুডোকে স্বাগত জানাতে পাঠানো হয়েছিল একজন জুনিয়র মন্ত্রীকে। আগ্রাতেও তাকে স্বাগত জানাননি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়েও অনিশ্চয়তা ছিল। পরে অবশ্য সেই বৈঠক হয়েছে। তবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহের বৈঠকে প্রত্যাশিত ভাবেই  উঠেছিল খালিস্তান ইস্যু। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তাঁর দেশকে ঘাঁটি করে সক্রিয় ৯ জনের একটি তালিকা দেন অমরিন্দর, যারা পাঞ্জাবে টার্গেট করে খুন করা, নানা ধরনের ঘৃণা-বিদ্বেষমূলক অপরাধে জড়িত, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছে, অর্থ ঢালছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে তিনি ট্রুডোকে অনুরোধ করেন। পাল্টা ট্রুডো আশ্বাস দেন, তার দেশ ভারত বা অন্যত্র কোথাও সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন সমর্থন করে না। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজেও টুইট করেছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট আশ্বাস পেয়ে আশ্বস্ত হলাম। তাঁর দেশ কোনো  বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তার ঘোষণা, ভারতে আমাদের সবার কাছে বড় স্বস্তির ব্যাপার।
বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসবাদী লোকজনের মোকাবিলায় তাঁর সরকারের সমর্থনের প্রত্যাশায় রয়েছি আমরা। কানাডার জনসংখ্যার একটা বড় অংশ শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। কানাডা সরকারে তিন জন শিখ মন্ত্রীও রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ট্রুডোকে শিখদের মন জুগিয়ে চলতে হয়। তার মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী খলিস্তানি আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর