× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উখিয়ায় ১১ বিদেশি আটক

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, উখিয়া থেকে
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার

উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবার নামে ট্যুরিস্ট ভিসায় চাকরি করে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে বিদেশিরা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কক্সবাজার র‌্যাব-৭ এর সদস্যরা শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহীদ এটিএম জাফর আলম সড়কের উখিয়ার টিএন্ডটি এলাকায় এনজিওকর্মী বহনকারী বিলাসবহুল গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১১ জন বিদেশিকে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে- ইংল্যান্ডের নাগরিক মুটেরী পাওয়াজ অনদিয়াপ, কোরিয়ার নাগরিক হি জিওনেস্ট লিম, ইতালিয়ান নাগরিক রোবাটু বেটিগন, ইলিশা কমপেগেন, ব্রাজিলিয়ান নাগরিক ইলিজা এউচটা রোম বিজিউটি, বেলজিয়ামের নাগরিক অ্যানকি রোটসাট, বৃটিশ নাগরিক রবিন এহিরন, জিনা  ব্রোমি, নরওয়ের নাগরিক গ্রো এমিন, নেদারল্যান্ডসের নাগরিক বোটিন টামিলিয়াম ও তুর্কি নাগরিক টারিক আকবো। কক্সবাজার র‌্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন মুঠোফোনে বলেন, এটা তাদের রুটিন ওয়ার্ক। বিদেশি নাগরিক সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আটক বিদেশি নাগরিকেরা ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে বিভিন্ন এনজিও সংস্থায় কর্মরত আছে। তারা এখানে অবস্থান করে চাকুরী করার বৈধতা উপস্থাপন করতে না পারায় তাদের আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে। পরবর্তী দায়িত্ব পুলিশের।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের জানান, বিদেশি ১১ নাগরিক তাদের হেফাজতে রয়েছে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব নাগরিকদের জিজ্ঞাবাদ শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া-টেকনাফের প্রায় ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা নাগরিক অবস্থানের সুযোগে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে বিদেশি ট্যুরিস্ট ভিজায় মানবিক সেবার নামে সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিদেশিরা অবৈধভাবে এসে এখানে চাকরির সুযোগ না পেলে দেশের শিক্ষিত বেকার যুবসমাজ এসব চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া কোন ব্যাপার ছিলনা। পাশাপাশি দেশের টাকা দেশেই থেকে যেতো। এমন অভিযোগ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, ক্যাম্পে যে সমস্ত এনজিও কাজ করছে এদের প্রত্যেককে তল্লাশি চালিয়ে তাদের বৈধতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা অতীব প্রয়োজন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর