× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর মহাসড়ক সংস্কার কাজে ধীরগতি, দুর্ভোগ

বাংলারজমিন

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার

লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজে অনিময় ও ঠিকাদারের গাফিলতিতে সংস্কার কাজ চলছে ধীরগতিতে। তিন মাস আগে সংস্কারের জন্য পিচ ঢালাই তুলে বড় বড় গর্ত করে রাখেন ঠিকাদার, কিন্তু কাজ করছেন না। বোয়াডার থেকে দালাল বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কার্যাদেশ পাওয়ার প্রায় তিন মাস পার হতে চললেও এখনও পর্যন্ত দুই কি.মি. সড়কের সংস্কার কাজ করতে পারেনি ঠিকাদার। এতে ওই সড়কের বিভিন্নস্থানে ঠিকাদার গর্ত করে রাখায় প্রায় গাড়ি উল্টে ঘটছে দুর্টনা। গত এক মাসে শতাধিক গাড়ি গর্তে পড়ে ঘটনার শিকার হয় সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের চালক ও এলাকাবাসী। এছাড়াও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আগে বিল্ডিংয়ের ও রাস্তার কাজে ব্যবহৃত পরিত্যক্ত ইটের খোয়া ব্যবহারসহ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সম্প্রতি রাতের আঁধারে পুরাতন ও রাস্তায় ব্যবহৃত ইটের খোয়া সংস্কার কাজ করার সময় উপজেলার রাখালিয়া বাজার এলাকার সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকার জনসাধারণ।
তাদের দাবি, পরিত্যক্ত ইটের খোয়া ও পুরাতন রাস্তার ইট পরিবর্তন করা না হলে এ সড়কে কোনো কাজ হবে না।
জানা যায়, নিয়মানুযায়ী যেটুকু সড়কের কার্পেটিং তুলে যে অংশ গর্ত করবে সে অংশ সংস্কারকাজ শেষ করে আবার নতুন করে সড়কে গর্ত ও কার্পেটিং তুলবেন ঠিকাদার। কিন্তু ওই নিয়ম না মেনে ঠিকাদার পুরো ১৬ কিলোমিটারের প্রায় স্থানে কার্পেটিং একবারে তুলে বড় বড় গর্ত করে ফেলেছেন রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে সড়কে এখন যানবাহন হেলেদুলে চলতে গিয়ে উল্টো গড়ে। এতে গত এক মাসে প্রায় শতাধিক গাড়ি ওই সড়কে উল্টে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হয়েছে। এ কারণে ওই সড়কে প্রায় সময় যানচলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ। অনেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে পানপাড়া সড়ক হয়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় যাচ্ছেন। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, সিলেট, শরিয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের শত শত যানবাহন চলাচল করে। এ অঞ্চলের মধ্যে লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর সড়কটি ব্যস্ততম সড়ক হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সওজের কিছু কর্মকর্তারা এ কাজের ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে নিজের ইচ্ছামতো প্রাক্কলন করেছিলেন। এতে শুধু নতুন মাটির ব্যবহারের জন্যই ১৮ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। অথচ সড়ক থেকে ওঠা মাটি দিয়েই কাজটি করা সম্ভব বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন। নির্মাণকাজে ২৫-৩০ বছরের পুরনো ইটের কণা-খোয়া ও ভিটি বালুর ব্যবহার, সড়কের পারে নতুন মাটি ব্যবহার না করা এবং নিয়ম অনুযায়ী সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ করা হচ্ছে না। সড়ক প্রশস্তকরণের সময় পানি ব্যবহার না করায় ধুলাবালিতে চলাচলকারীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এদিকে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে সম্প্রতি রায়পুরের রাখালিয়া গ্রামে ওই সড়কের কাজ বন্ধ করে দেয় গ্রামবাসী। পরে গ্রামবাসীকে নিয়মানুযায়ী কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের শুরু করা হয়।
ঠিকাদার মো. আজিজুল করিম বাচ্চু বলেন, কার্পেটিং তোলাতে গর্ত করা মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে সত্য। কাজটি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। কিছু গাড়ী অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে দ্রুত চলাচল করতে গিয়ে উল্টে পড়ছে। এতে গর্তের কোন সমস্য নয়। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই রাস্তার কাজ শেষ হবে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজিজুর রহমান বলেন, প্রায় সময়ই গর্তে পড়ে উল্টে যাওয়া গাড়িগুলো আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে। ঠিকাদারের গাফিলতিতে ওই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ নাজেহাল হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা কাজটি তদারকি করছি। কোনো অনিয়মের অভিযোগ কেউ করেনি। তবুও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। এছাড়ও কোন কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ গত মার্চ মাসে রায়পুর থেকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত ৪০ কি.মি সড়ক ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে রায়পুর বোয়াডার থেকে দালাল বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজের টেন্ডার রানা ও হাসান বিল্ডাসের ঠিকারদার প্রতিষ্ঠান।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর