× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের বেষ্টনী নির্মাণের উদ্যোগ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৬ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮, শনিবার, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিয়ানমার। বেড়া নির্মাণসহ রাখাইন সীমান্তে অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দেশটির পার্লামেন্ট প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার অনুমোদন করেছে। আগস্টে শুরু হওয়া ভয়াবহ সেনা অভিযান শুরুর পর এই রাজ্য থেকে প্রায় ৭ লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর এবার সীমান্তে বেড়া নির্মাণের পদক্ষেপ নিল মিয়ানমার। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। দেশটির আইনপ্রণেতা মো জ অং শুক্রবার বলেন, পার্লামেন্টে এই অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ তিনটি মন্ত্রণালয়ই দেশটির সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। মিয়ানমারের উপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল অং সো বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন।
এ দিনই বাজেট প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। জেনারেল অং সো বলেন, ২৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের ২০২ কিলোমিটারজুড়ে বেড়া দেয়া সম্পন্ন হয়েছে।
খবরে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমারজুড়ে এক ধরণের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। দেশটিতে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখা হয়, যদিও তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সেখানে বসবাস করে আসছিল। বেশিরভাগ রোহিঙ্গাই নাগরিকত্বহীন। সামাজিক ও সরকারিভাবে তারা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী যে নিষ্ঠুর সহিংস অভিযান শুরু করেছে আগস্টে, তার পর থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপকহারে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জাতিগত নিধন অভিযান চালানোর অভিযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গাদের একটি সশস্ত্র সংগঠন প্রায় ৩০টি পুলিশ চৌকিতে আক্রমণ করার পর নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করে।
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা চলছে। তবে ফেরত যাওয়ার পর রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে কিনা তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় রয়েছে। অনেক রোহিঙ্গার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযানে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়েছে। মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতি দেশে এতটুকু সহানুভূতি নেই। অক্টোবরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীকে বৌদ্ধ ব্যক্তিবিশেষের কাছ থেকে ৫০ লাখ ডলার অনুদান পেয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর