× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাবান্ধা বন্দরে ১৯০ টন পচা গম /দেড় মাসেও ব্যবস্থা নেয়নি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ

বাংলারজমিন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার

ভারত থেকে আমদানি করা ১৯০ টন পচা  গমের  ব্যাপারে এখনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। দেড় মাস আগে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে এ গম আমদানি করা হয়। আমদানিকৃত গমের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে পরিবেশ দূষিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৭ই  জানুয়ারি নীলফামারী জেলার মেসার্স ইমতিয়াজ ট্রেডার্স ভারত থেকে ১৯০ দশমিক ১০ টন গম আমদানি করে। এ সময় উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্র গমগুলোতে নানা রকম ক্ষতিকারক জীবাণু রয়েছে বলে আশঙ্কা করে। কয়েকদিনের মধ্যে তা পরীক্ষা করার জন্য গমের স্যাম্পল ঢাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ উইং গমগুলোকে পচা ও ৫টি ক্ষতিকারক জীবাণু আক্রান্ত বলে জানানোর পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্র গমগুলো ফেরত দেয়ার জন্য আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টকে চিঠি দেয়। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গমগুলোকে আটক দেখালেও আমদানিকারক বা সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
গমগুলো ফেরত দেয়ারও উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আটককৃত গমগুলো এখনো ওয়্যার হাউজে থাকার কারণে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অনেকে। বিষয়টি নিয়ে স্থলবন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমদানি ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নাম গোপন রাখার শর্তে এক আমদানিকারক বলেন, উপরে লবিং চলছে। গমগুলো ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। হয়তো ছেড়ে দেবে। অন্যদিকে আমদানিকারক মেসার্স ইমতিয়াজ ট্রেডার্সের পক্ষে সিএন্ডএফ এজেন্ট ও সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাহিরুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, কোনো নিউজ করতে পারবেন না। কোনো নিউজ হবে না। অনুসন্ধানে জানা যায় নাহিরুল ইসলাম এর আগে ২০১৬ সালে হাবিব ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটার হিসেবে কাজ করতেন। এ সময় ভুয়া এলসির মাধ্যমে ১১ কোটি টাকার ভারতীয় কটন তুলা আমদানি করার সময় ধরা পড়েন। পরে তার লাইসেন্স বাতিল করা হয়। মামলাও চলমান রয়েছে। বর্তমানে তিনি সেতু ইন্টারন্যাশনাল নামে আরেকটি সিএন্ডএফ লাইসেন্স ব্যবহার করে এই বন্দরে কাজ করছেন। এ ব্যাপারে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জাকির হোসেন তাহের (কাজল) বলেন, গমের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে  জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর