× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বরগুনায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে যুবককে হত্যা

বাংলারজমিন

বরগুনা প্রতিনিধি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় পরকীয়ার কারণে মো. জসিম উদ্দিন (৩২) নামের এক যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে লাশ গুম করার জন্য বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের গেরামার্দ্দন গ্রামে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় গতকাল দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে বেতাগী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের গেরামার্দ্দন গ্রামের আবদুল মন্নান (৩৫) ও তার স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩০)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের গেরামার্দ্দন গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মন্নানের স্ত্রী তানিয়া বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী মো. জসিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২১শে ফেব্রুয়ারি রাতে মন্নান ঘরের বাইরে গেলে জসিম মন্নানের স্ত্রী তানিয়ার কাছে আসেন। পরে মন্নান ফিরে এলে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে উত্তেজিত হয়ে হাতের কাছে পাওয়া হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই স্ত্রী তানিয়া বেগমের সহযোগিতায় লাশ গুম করার জন্য বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে রাতভর ছেলে বাড়ি না ফেরায় শুক্রবার  বিকালে জসিমের মা জরিনা বেগম বেতাগী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরই সূত্র ধরে বেতাগী থানা পুলিশ হত্যা রহস্য উদঘাটন করে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন আবদুল মন্নান ও তার স্ত্রী। সেই সঙ্গে লাশ গুম করার জন্য বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথাও স্বীকার করেছে তারা। তবে বিষখালী নদীতে দফায় দফায় অভিযান চালিয়েও লাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। লাশের সন্ধানে আমরা এখনো বিষখালী নদীতে অভিযান চালাচ্ছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর