× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নবীগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বাকযুদ্ধ

এক্সক্লুসিভ

এমএ বাছিত, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) নির্বাচনী এলাকায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যের বাকযুদ্ধ হয়েছে। বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে ‘আমার এমপি’ নামক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে অংশগ্রহণ করেন, জাপার সংসদ সদস্য আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু, আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, প্রয়াত সংসদ সদস্য দেওয়ান ফরিদগাজী তনয় শাহ নেওয়াজ গাজী মিলাদ। আয়োজিত টকশোতে যুক্তরাজ্য থেকে অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া। আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জনিত কারণে বঞ্চিত সংরক্ষিত সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন সংরক্ষিত সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। গতকাল দুপুরে আমার এমপি অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে বেসরকারি টিভি চ্যানেল টুয়েন্টিফোর। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, চা বাগান ও খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ হবিগঞ্জ-০১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) নির্বাচনী এলাকায় ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি মনোনীত হন জাপা নেতা আবদুল মুনিম চৌধুরী।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির এক প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় রয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, মিলাদগাজীকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সংরক্ষিত সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরীকে ‘আমার এমপি’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ নিয়ে কেয়া চৌধুরী ও আলমগীর চৌধুরী সমর্থিত নেতাকর্মীর মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। তৃণমূলে সমালোচনার ঝড় উঠে। অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ঘণ্টাখানেক পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন এমপি কেয়া চৌধুরী। এতে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। প্রিন্ট মিডিয়া ছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা করি। চা শ্রমিক অধ্যুষিত নির্বাচনী এলাকার বাহুবল উপজেলা থেকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে আমাকে নিমন্ত্রণ করার কথা ছিল সবার আগে। কারণ, বিগত দিনগুলোতে নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিজেকে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রেখেছি। এছাড়াও জনগণের ও তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশায় একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিজেকে সব সময় সম্মানজনক অবস্থানে ভেবেছি। আমি একজন ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি দেশকে ভালোবাসি, দেশের জন্য কাজ করি। অনুষ্ঠানে যে সব অতিথিকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে, তারা সবাই নবীগঞ্জ উপজেলার। বাহুবল উপজেলার প্রার্থী হিসেবে কেন কাউকে নেয়া হলো না। বাহুবল উপজেলা থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কাউকে সম্মান জানানো হলো না। এমন বৈষম্য কেন? এমপি কেয়া বলেন, বর্তমান এমপি হলে কি সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় থাকা যাবে না? সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসনের এমপি হওয়াটা কি অন্তরায়? বেসরকারি ওই টিভি চ্যানেলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে এমপি কেয়া বলেন, তারা জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বললেও, সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় সকল ষড়যন্ত্র ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড ব্যর্থ হবে ইন্‌শাআল্লাহ। এমপি কেয়ার ওই স্ট্যাটাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনার ঝড় উঠেছে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সংরক্ষিত নারী সদস্যদের নিয়ে পৃথক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নারী সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এখানে ভিন্নমুখী এজেন্ডার অভিযোগ নাকচ করা হয়। ওদিকে, আলোচিত ওই অনুষ্ঠান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, আওয়ামী লীগের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও বর্তমান নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর