× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরাইলে ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্রলীগের মিছিল ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

বাংলারজমিন

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার

সরাইলে একই স্থানে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ সভা আহবান করায় সরাইল সদর, কালীকচ্ছ ও নোয়াগাঁও এলাকায় জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল-মিটিং হয়েছে। হয়েছে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ। গতকাল ভোর থেকেই সরাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর ও উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। বিকাল ৩টায় নবগঠিত কমিটির আহবায়ক মো. জসিম খানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে। বিকাল ৪টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।   
দলীয় ও প্রশাসনিক সূত্র জানায়, গত ৩০শে জানুয়ারি জেলা ছাত্রলীগ মো. জসিম খানকে আহবায়ক ও আফসারকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৪৯ সদস্যের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। এর ২-৩দিন পরই ফেসবুকে জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে গিয়াস উদ্দিন ছানা উল্লাহ সেলুকে আহবায়ক করে আরেকটি কমিটি দেয়া হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ এ কমিটিকে ভুয়া আখ্যায়িত করে ফেসবুকে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি জসিম খানের কমিটিকে বৈধ কমিটি বলে ঘোষণা দেন।
পরের কমিটি ফটোশপের মাধ্যমে জালিয়াতি ও প্রতারণা করে তার প্যাড এবং স্বাক্ষর জাল করে বলে মাসুম বিল্লাহ জানান। পৃথক দুটি কমিটি নিয়ে সরাইল ছাত্রলীগ তথা আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে উত্তেজনা চলে আসছিল। ছাত্রলীগ আহবায়ক জসিম খান উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শনিবার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা করার ঘোষণা দেন। এরপরই গিয়াস উদ্দিন সেলু (৩৩) ও ইমতিয়াজ আহমেদ বাপ্পি একই তারিখে একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যার পর সেলুর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবলীগ নেতার অংশ গ্রহণে একটি মিছিল হয়। উপজেলা প্রশাসন আইন শৃঙ্খলার অবনতি রোধে শুক্রবার গভীর রাতে শহীদ মিনার চত্বর সহ সরাইল সদর পার্শ্ববর্তী নোয়াগাঁও কালীকচ্ছ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। বিকাল ৩টার পর সরাইল গরু বাজার এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। সেখানে ছাত্রলীগের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, জেলা পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন মিল্লাত, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল আসাদ সিজার ও বর্তমান আহবায়ক মো. জসিম খান। সাড়ে ৩টার দিকে নিজ সরাইল এলাকা থেকে বাপ্পির নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি মিছিল বের হয়ে হাসপাতালের মোড় হয়ে অন্নদা স্কুল মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর মিল্লাত, সিজার ও জসিমের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল উপজেলা সদরে প্রবেশ করে। এ সময় নিজসরাইল ব্রিজের কাছে বাপ্পির নেতৃত্বে একটি গ্রুপ জসিমের মিছিলটিতে হামলার চেষ্টা করলে কিছুক্ষণ উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেলের আঘাতে সড়কের পাশে অন্নদা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের বাড়ির জানালার গ্লাস ভাঙচুর হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। ওদিকে বিকাল ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। সেই সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আল-আমীন হোসেন, সহসম্পাদক মহসিন উদ্দিন হিমেল ও উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহিন আলমের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর