রাজধানীর শাহআলী এলাকায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম তানজীমা আক্তার (২৭)। পরিবারের অভিযোগ তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার কলাবাগান এলাকায় সীমা আক্তার (১৬) নামে অপর এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শাহআলীর ৮ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় স্বামী মফিজুল ইসলামের সঙ্গে থাকতেন। গতকাল সকাল ৮টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় তার স্বামী মফিজুল ইসলাম ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার স্বামী ঢামেক হাসপাতালে পুলিশের কাছে দাবি করেন যে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে তাকে পুলিশ আটক করে। নিহতের বোন শামীমা আক্তার অভিযোগ করেন, ২ বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয় মফিজুলের সঙ্গে। তার পরিবারে দুই বছরের একটি সন্তান আছে। তিনি আরো জানান, বিয়ের পরে কারণে ও অকারণে মফিকুল তাকে মারধর করতো। তাকে পরিকল্পিতভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে বলে তিনি দাবি করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন। ঢামেক হাসপাতালে ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, নিহতের স্বামীর কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হলে তাকে থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। এদিকে, কলাবাগান থানাধীন কাঁঠালবাগানের লক্ষ্মীবাড়ির দ্বিতীয় তলায় স্বামী অ্যাম্বুলেস চালক অমিতের সঙ্গে থাকতেন সীমা।
গতকাল বিকাল ৪টার দিকে ওই বাড়ির বেডরুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ফাঁস দেন সীমা।
খবর পেয়ে কলাবাগান থানার এসআই ফারুক হোসেন ঘরের দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা এলাকায়।