× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রমেকের কল্যাণ তহবিলের ১০ লাখ টাকা তছরুপের ঘটনায় তোলপাড়

দেশ বিদেশ

জাভেদ ইকবাল, রংপুর থেকে
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ তহবিলের ১০ লাখ টাকা তছরুপ হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। কয়েকজন মিলে কল্যাণ তহবিলের টাকা হরিলুট করছে। এ টাকা আত্মসাতের লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে হাসপাতালের সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালককে। অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে জরুরি বিভাগ থেকে রোগী কল্যাণের টাকা নেয়া বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় কুমার রায় বলেন, কল্যাণ তহবিলের টাকা জমা দেয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কল্যাণ তহবিলে টাকা জমা দেয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এটি স্থগিত থাকবে। তবে, স্বাভাবিক হলে আবারো কল্যাণ তহবিলের জন্য টাকা নেয়া শুরু হবে বলে তিনি জানান। সমাজসেবা অধিদপ্তর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখা সূত্রে জানা যায়, অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য ১৯৭৪ সাল থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়।
আরো বেশি অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে গত ১০ বছর ধরে জরুরি বিভাগে প্রতিটি টিকিট থেকে পাঁচ টাকা করে বেশি নিয়ে রোগী কল্যাণ তহবিল ফান্ডে জমা দেয়া হচ্ছে। আর এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে হাসপাতালের সমাজসেবা অধিদপ্তর। তারা এই তহবিলের টাকায় ঔষধ, অস্ত্রোপচার সামগ্রী, রক্ত গ্রুপ ম্যাচিং চার্জ, প্যাথলজি পরীক্ষা নিরীক্ষা, আর্থিক সহায়তা, নেবুলাইজার, ডায়াবেটিস পরীক্ষা মেশিন, অজ্ঞাত রোগীদের পোশাক, কম্বল ইত্যাদি সহায়তা দিয়ে আসছে হতদরিদ্র রোগীদের। এর জন্য প্রতিবছর তাদের চাহিদা ছিল ৫০ লাখ টাকা। কল্যাণ তহবিলে অর্থ সংকটের কারণে প্রতিবছর তাদের খরচ হচ্ছে ২৪ লাখ টাকা। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে প্রতিদিন প্রায় ৪শ’ রোগী জরুরি বিভাগ থেকে টিকিট নিয়ে থাকেন। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা। টিকিট প্রতি পাঁচ টাকা করে নিয়ে তা রোগী কল্যাণ তহবিলে জমা রাখা হয়। অনিয়মের কারণে গত ১ মাস থেকে তা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের সমাজসেবা অফিসার সানজিদা ফেরদৌস ও নুরে লায়লার অভিযোগ, গত বছরের আগস্ট মাস থেকে রশিদ বই ও টাকা কোনোটাই জমা দেয়া হচ্ছে না তাদের অফিসে। এ নিয়ে গত মাসে হাসপাতালের কার্যকরী পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি তোলা হলে কল্যাণ তহবিলের জন্য টাকা নেয়া আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিযোগে আরো জানা যায়, জরুরি বিভাগের ইনচার্জ সমাজসেবাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে সাড়ে ৩শ’ রোগী আসে সেখানে আড়াই’শ রোগীর টাকা দেয়া হবে। সে হিসাবে প্রতিমাসে কল্যাণ তহবিলে জমা হবার কথা ছিল সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা। কিন্তু তা না করে দেয়া হয় ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। এখন সেটাও বন্ধ। রংপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মিজানুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকা ও রশিদ দেয়া হলেও সমাজসেবা অধিদপ্তর তা গ্রহণ করছেন না ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর