× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

শেষ হলো আলোচিত এসএসসি পরীক্ষা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার

প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপক অভিযোগের মধ্যে শেষ হলো আলোচিত এসএসসি পরীক্ষা। গত ১লা ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া চলতি বছরের বহুল আলোচিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা গতকাল শেষ হয়েছে। এ পরীক্ষায় প্রায় ১২টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস ওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে পরীক্ষার শেষদিনে গতকাল কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার এসএসসি’র ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বা লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন-কোনোটিই ফাঁস হয়নি। এ ঘটনায় উৎসাহিত হয়ে বেশ নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানোর কৌশল হিসেবে ট্রেজারি থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথক দুইসেট প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়।
একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী সাধারণ শিক্ষকরা জানতেন না কোন সেট-এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর অল্প কিছু আগে এসএমএস’র মাধ্যমে কেন্দ্র সচিবদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সেট চূড়ান্ত করে জানিয়ে দেয়া হয়। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেনি কোনো চক্র। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, তাদের গৃহীত কিছু কৌশলের কারণে গত শেষ তিন/চারটি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র আউট কমে গেছে। কৌশলটি সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত কিছু বলতে তিনি রাজি হননি। এর আগে, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় মোট ১২টি বিষয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ মিলেছে। এবারের এসএসসি নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে এশাধিক বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক সমন্বয় সভায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ছয়টি কারণ শনাক্ত করা হয়। পরে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে প্রশ্নব্যাংক তৈরি ও পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনে ঐকমত্যের কথাও জানানো হয়। সর্বশেষ প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর আগে এসএসসি’র প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষার দিনগুলোতে ইন্টারনেটে ‘ধীর গতি’ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি রাতে আধঘণ্টার জন্য সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নও করা হয়। ওই সময় কার্যত ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সারা দেশ। পরে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে ইন্টারনেটে ‘ধীর গতি’র সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৫২ মামলায় ১৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর